বারুইপুর, ২২ সেপ্টেম্বর (হি.স.): পঞ্চায়েত প্রধান ফতোয়া জারি করেছেন, আর সেই কারণে বন্ধ বৃত্তি পরীক্ষা। ফলে পরীক্ষা দিতে এসে ফিরতে হল ছাত্রছাত্রীদের। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঝুলছে তালা। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রামনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান সোমনাথ চক্রবর্তীর নির্দেশে পরীক্ষা বন্ধ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে। এর জেরে বারুইপুর উত্তরভাগ সত্যানন্দ বিদ্যা নিকেতন স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, শাসকদলের লোকজন এসে জোর করে অবরোধ সরিয়ে দেয়। মহিলাদের ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, এই অবরোধ এর জেরে ক্যানিং রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বেশ খানিকক্ষণ। জানা গিয়েছে, বামপন্থী সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষা সমিতির উদ্যোগে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ৩৫০ জন ছাত্র ছাত্রী এদিন পরীক্ষা দিতে এসেছিল। প্রধানের দাবি টাকা পয়সা নিয়ে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল, বৃত্তি পরীক্ষা কেন টাকা পয়সা নিয়ে হবে, সেই কারণে তিনি স্কুলকে বিষয়টা খতিয়ে দেখে পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ কথা স্বীকারও করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। রামনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বৃত্তি পরীক্ষা টাকা নিয়ে হচ্ছিল তার বিরোধিতা করেছি। আমি এলাকার মানুষ হতদরিদ্র তাদের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার নাম করে কারোর কাছ থেকে ৯০ টাকা কারোর কাছ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমি বলেছি, আমি পরীক্ষার বিরুদ্ধে নই। টাকা নেওয়া হয়েছে সেটা আমি আপত্তি জানিয়েছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমার নাম করে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য সম্মতি চেয়েছিলেন আমি হ্যাঁ বলেছি।”