কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.): আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জেরায় সদুত্তর দিচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে তাঁদের আরও তিন দিনের জন্য হেফাজতে চাইল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এই সঙ্গে সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে জানায়, এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আদালতে তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন।
টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সিবিআই। শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক জানতে চান, তাহলে কি ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত টালা থানার ওসি? এর উত্তরে সিবিআই জানায়, ‘দিল্লি থেকে কিছু রিপোর্ট আসা বাকি আছে। ধাপে ধাপে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিন ধৃতদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ।