হাফলং (অসম), ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ে শারদীয়া দুর্গা পূজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন পূজা কমিটি। শৈলশহর হাফলঙের অন্যতম পূজোর মধ্যে হচ্ছে মা শক্তি দূর্গা পূজা কমিটি।
ইতিমধ্যে এই পূজা কমিটি পূজার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এবার এই কমিটির দুর্গা পূজা ২০ বছর পূর্ণ করবে। ইতিমধ্যে পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। এবার মা শক্তি দুর্গা পূজা কমিটির সভাপতি হয়েছেন অজয়লাল থাওসেন। তাছাড়া কার্যনিৰ্বাহী সভাপতি হয়েছেন রূপম কারিগাপসা, উপ-সভাপতি চারজন যথাক্রমে রাণা চন্দ, রজতকান্তি নাথ, পঙ্কজকুমার দেব এবং নির্মল সিং। সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন যথাক্রমে চন্দন রায় ও আশিস দত্ত।
হাফলং শহরে পূর্ত বিভাগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা কমিটির সম্পাদক চন্দন রায় জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে মা শক্তি দুর্গা পূজা কমিটির প্রথম পূজা শুরু হয়। এবার কুড়ি বছরে পা দিয়েছে এই পূজা। প্রতি বছর মা শক্তি পূজা কমিটির পুজো নিয়ে শহরের মানুষের মধ্যে এক উৎসাহ থাকে। হাফলং শহরে তেমন বিগ বাজেটের পুজো অনুষ্ঠিত হয় না। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পুজোর বাজেট ছোট থাকে। কারণ শহরে বেশির ভাগ পূজাই অনুষ্ঠিত হয়ে স্থায়ী মন্দির বা স্থায়ী মণ্ডপে।
চন্দন রায় জানিয়েছেন, এবার তাঁদের পূজোর বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। তবে সীমিত বাজেট হলেও প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিমা ও মণ্ডপে পুজো দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে চমক। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছেন বিজয় দাস। প্রতিমা নির্মাণ করছেন হারাঙ্গাজাওয়ের কল্পতরু প্রতিমালয়ের মৃৎশিল্পী প্রদেশ ভট্টাচার্য।
পূজা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাই প্রতিবছর মা শক্তি পূজা কমিটির পুজোয় মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। পুজোর তিন দিনই থাকবে মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা। এবারও সপ্তমী ও অষ্টমীতে থাকবে অন্নপ্রসাদ এবং নবমীতে থাকবে খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা, জানিয়েছেন পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আশিস দত্ত।