নিজস্ব প্রতিনিধি চড়িলাম,,১৩ সেপ্টেম্বর।। চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে চলছে বিশালগড় পুর পরিষদ। বাৎসরিক কর দিয়েও অতি সাধারণ সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত পুরবাসীরা। পানীয় জল, রাস্তা , জল নিষ্কাশনি ব্যবস্থা , সব ক্ষেত্রেই পরিষেবা একপ্রকার বিপর্যস্ত। এলাকায় কাউন্সিলরদের দেখা নেই। বাৎসরিক কর দেবার পরেও পুরবাসীদের বাড়ির আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য দিতে হয় আলাদা অনুদান। মাসিক ৬০ টাকা করে দিতে হয় প্রতি পরিবারকে। আর সেই টাকা সংগ্রহ করে মাসিক তিন থেকে চার হাজার টাকা ভাতা পায় সাফাই কর্মীরা।
একজন সাফাই কর্মী ৩০০ বাড়ি থেকে ৬০ টাকা করে সংগ্রহ করলে মোট ১৮০০০ টাকা সংগ্রহ হয়, বাৎসরিক দুই লক্ষ ষোল হাজার টাকা । এমন প্রায় ১৫-২০ জন সাফাই কর্মী পুর এলাকায় কাজ করছে। কিন্তু সেই সাফাই কর্মীকে ভাতা দেওয়া হয় মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা। বাকি টাকা যায় পুর ফান্ডে। অর্থাৎ একবার পুর কর, এরপর আবার সাফাই কর আদায় করা হয় পুর বাসীদের কাছ থেকে। যা একপ্রকার অনৈতিক।
কিন্তু এইখানেও একদিকে পুরবাসীদের কাছ থেকে অনৈতিক টাকা নেওয়ার পাশাপাশি, এই সাফাই কর্মীদেরকেও বঞ্চিত করছে পুর পরিষদ । এক ওয়ার্ডে কাজ করার টাকা দিয়ে তিন ওয়ার্ডের কাজ করানো হচ্ছে সাফাই কর্মীদের । দিনের পর দিন বঞ্চিত সাফাই কর্মীরা তাদের ন্যায্য পাওনা দাবি করলে তাদের কাজ ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেয় পুর কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় সংসার নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় সাফাই কর্মীরা। আমাদের প্রতিনিধির ক্যামেরায় অভিযোগ জানানোর পরেও তাদের ভয়, এই খবর প্রকাশিত হলে তাদের যদি কাজ থেকে বহিস্কার করে পুর কর্তৃপক্ষ..?
তবে সাফাই কর্মীদের সাথে বিশালগড় পুর পরিষদের এই অমানবিকতায় রীতিমত ঘৃণার সুর বিশালগড় বাসীর মুখে। তারই সাথে পুর এলাকায় পুর পরিষদের কাজে বেজায় ক্ষুব্ধ পুরবাসী।