ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতি ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের আটক এবং তাঁদের আটক করার পর অসুস্থ হয়ে ছেলে জ্যোতির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে আটকের স্থান এবং আটকের পর পরিবারের সদস্যদের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষ একটি সূত্রের খবর, গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত দুটোর দিকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড সংলগ্ন একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোাতি ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অন্য একটি সূত্রে একই সময়ে তাঁদের আটকের ঘটনা পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার বলে জানা গেছে।
দুটো সূত্র থেকেই অবশ্য আটকের পর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের একমাত্র পুত্র সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতির অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের মতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের আটক করার পরপরই জ্যোতি নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
পরবর্তীতে জ্যোতিকে হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য–প্রমাণের অভাবে বিষয়টি এখন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করছে সূত্র।
এদিকে আটক করার পর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের অবস্থান সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। ডিবি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো পক্ষ থেকে তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়নি কিংবা আদালতে হাজির করার কথাও বলা হয়নি। সেক্ষেত্রে জ্যোতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় গোটা আটকের বিষয়টিই গোপন রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, এমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।