BRAKING NEWS

দেশের স্বপ্ন হলো বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে ভারতের চিপ লাগানো থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর : দেশের স্বপ্ন হলো বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে ভারতের চিপ লাগানো থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় ইন্ডিয়া এক্সপো মার্টে সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৪-এর উদ্বোধন করে প্রত্যয়ের সুরে একথা বলেছেন। শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৪-এর প্রদর্শনী এক্সপো ঘুরে দেখেন। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের এই সম্মেলনে ভারতের প্রকৌশলীদের সেমিকন্ডাক্টর কৌশল এবং নীতি প্রদর্শিত হবে, যার মধ্য দিয়ে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে  ভারতকে বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রে  পরিণত করার দিশা কল্পনা করে রাখা হয়েছে ।

এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী সেমিকন-এর সমস্ত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভারত বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সাথে সম্পর্কিত এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন “ভারতে থাকার এটাই সঠিক সময়। আপনারা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় এসেছেন”। তিনি বলেন,  তিনি বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর ভারতে, চিপস কখনও কমবে না”। তিনি বলেন, আজকের ভারত বিশ্বকে আশ্বস্ত করছে যে, “যখন চিপস কমবে, তখন আপনারা ভারতের উপর বাজি ধরতে পারবেন।”

সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়া এবং ডায়োডের মধ্যে সংযোগ – যেখানে শক্তির প্রবাহ একমুখী -একথা উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারতের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিশেষ ডায়োড দিয়ে সজ্জিত যেখানে শক্তি উভয় দিকে প্রবাহিত হয়। তিনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, শিল্পসমূহ যেমন  বিনিয়োগ করে এবং মূল্য সৃষ্টি করে, তেমনি অন্য পক্ষে, সরকার স্থিতিশীল নীতি এবং অতি সহজে ব্যবসা করার সুবিধা প্রদান করে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আজকের ভারত সমগ্র বিশ্বের আত্মবিশ্বাসে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে যেমন ব্যবহৃত হয় ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এরই সমান্তরালে একটি ভারত ইন্টিগ্রেটেড ইকোসিস্টেম দিতে চলেছে । সারা বিশ্বে ডিজাইনিং জগতে ভারতের অবদান ২০ শতাংশ এবং তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ৮৫ হাজার প্রযুক্তিবিদ, প্রকৌশলী এবং গবেষণা ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রের কর্মী বল তৈরি করার দিকে এগুচ্ছে ।

ভারতের নিজস্ব গবেষণা বাস্তুতন্ত্রকে নতুন দিশা দেখাতে ও শক্তি প্রদানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রথম বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এদেশের শিক্ষার্থী  এবং পেশাদারদের শিল্পক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি দেশের গবেষণার কাজে উৎসাহ ও সহায়তা দিতে ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ গবেষণা তহবিলের সংস্থান রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

আগামী দিনে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে আরো নতুন দিক উন্মোচিত হতে চলেছে। বর্তমানে ভারত, চিপের অন্যতম বৃহত ব্যবহারকারী দেশ হয়ে উঠেছে। ক্রমশ ডেটা সেন্টারের চাহিদা বাড়ছে। সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়া আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের স্বপ্ন হলো বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে ভারতের চিপ লাগানো থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে ভারত সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ব্যবহৃত একটি সমন্বিত সার্কিটের সাথে একটি সমন্বিত ইকোসিস্টেম আঁকার সমান্তরাল প্রদান করে এবং ভারতের ডিজাইনারদের বহুল আলোচিত প্রতিভাকে তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী অনুসন্ধান জাতীয় গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রথম বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন যার লক্ষ্য ভারতের গবেষণা বাস্তুতন্ত্রকে নতুন দিকনির্দেশনা এবং শক্তি দেওয়া। তিনি ১ ট্রিলিয়ন টাকার একটি বিশেষ গবেষণা তহবিলের কথাও উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এই ধরনের পদক্ষেপ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে সেমিকন্ডাক্টর এবং উদ্ভাবনার সুযোগ বৃদ্ধি করতে বাধ্য এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের পরিকাঠামো নির্মাণের উপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন ভারত এখন ত্রি -মাত্রিক শক্তির অধিকারী। এই ত্রিমাত্রিক শক্তি হলো, বর্তমান সংস্কারবাদী সরকার, দেশের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ভিত্তি এবং দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজার, যা প্রযুক্তিগত প্রবণতা সম্পর্কে সচেতন। এই ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম ত্রি মাত্রিক শক্তির এই ভিত্তি অন্যত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন।  

ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাজের স্বতন্ত্রতা তুলে ধরে, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতে চিপসের অর্থ কেবল প্রযুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি দেশের কোটি কোটি নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা পূরণের একটি মাধ্যম। ভারত যে এই ধরনের চিপগুলির একটি বিশাল ভোক্তা, তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে বিশ্বের সেরা ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো এর উপরই নির্মিত হয়েছিল। তিনি বলেন “এই ছোট চিপটি ভারতে শেষ-মাইল ডেলিভারি নিশ্চিত করতে বড়রকমের কাজ করছে”, করোনা ভাইরাস এর কারণে সংকট কালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল, তখন ভারতে ব্যাঙ্ক পরিষেবা অব্যাহত ছিল। ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোর কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” ভারতের ইউ পি আই, রুপে কার্ড, ডিজি লকার বা ডিজি যাত্রা হোক না কেন, একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভারতের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য, ভারতে বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে উত্পাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সবুজ রূপান্তর বৃহৎ পরিসরে ঘটাচ্ছে এবং ডেটা সেন্টারের চাহিদাও বাড়ছে। তিনি বলেন ” বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে চালিত করার জন্য ভারত বৃহৎ  ভূমিকা পালন করতে চলেছে “।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ভারতের নতুন মন্ত্র হলো ভারতে উৎপাদিত চিপের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকে উন্নীত করার জন্য সরকারের গৃহীত অসংখ্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে সরকার সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন সুবিধা স্থাপনের জন্য ৫০% আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, রাজ্য সরকারগুলিও এই প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এই নীতির কারণে, তিনি বলেন, ভারত খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১.৫ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং আরও অনেকগ্যালো প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে।  সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্র নিয়ে ভারতের ব্যাপক দিশাপথের  উপরও আলোকপাত করে তিনি বলেন, যেখানে ফ্রন্ট-এন্ড, ডিসপ্লে ফ্যাব, সেমিকন্ডাক্টর প্যাকেজিং এবং সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির ক্ষেত্রেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ রয়েছে । প্রধানমন্ত্রী এই বছর দিল্লির লাল কেল্লা থেকে ঘোষনা করেছিলেন যে “আমাদের স্বপ্ন হলো বিশ্বের প্রতিটি ডিভাইসে একটি ভারতীয় তৈরি চিপ থাকবে,” সেমিকন্ডাক্টর পাওয়ার হাউসে পরিণত হতে যা যা করা দরকার তা করার জন্য ভারতের অভিপ্রায় রয়েছে বলে তিনি ফের একবার উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলি সুরক্ষিত করার বিষয়ে সরকারের ফোকাস নিয়েও আলোচনা করেন এবং অভ্যন্তরীণ উত্পাদন এবং বৈদেশিক অধিগ্রহণকে উত্সাহিত করার জন্য সম্প্রতি ঘোষিত ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, যে ভারত শুল্ক ছাড় এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির জন্য খনির নিলামে দ্রুত কাজ করছে। শ্রী মোদী এই এই টি-র সহায়তায় ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে একটি সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন। শুধুমাত্র আজকের জন্য উচ্চ-প্রযুক্তির চিপ নয়, পরবর্তী প্রজন্মের চিপগুলিও তৈরি করার লক্ষ্যেও সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টারের বিশাল ভূমিকা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের লক্ষ্য এক স্বচ্ছ, কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সাফল্যের জন্য, প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ডেটা সাশ্রয়ী করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে ভারত এক দশক আগে মোবাইল ফোনের বৃহত্তম আমদানিকারকদের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ ছিল আর  আজ এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোনের উৎপাদকএবং রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে পরিণত  হয়েছে। তিনি ভারতের দ্রুত অগ্রগতির উল্লেখ করে বলেন ফাইভ-জি  চালু হওয়ার মাত্র দুই বছর পরে ভারত এখন বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জি  হ্যান্ডসেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হিসাবে পরিগনিত হয়েছে।

ভারতের ইলেকট্রনিক্স সেক্টর এখন ১৫০ বিলিয়ন ডলার এর ক্ষেত্র। এই ইলেকট্রনিক্স সেক্টরকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্ষেত্রে উন্নীত করার জন্য এবং এই দশকের শেষ নাগাদ ৬ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার একটি বৃহত্তর লক্ষ্যের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন যে এই বৃদ্ধি ভারতের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরকে সরাসরি উপকৃত করবে। তিনি বলেন “আমাদের লক্ষ্য হল  ইলেকট্রনিক উত্পাদনেই ১০০% ভারতে হওয়া উচিত। সেই সাথে আগামীতে ভারত সেমিকন্ডাক্টর চিপস এবং চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত পণ্যও তৈরি করবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম শুধুমাত্র ভারতের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নয়, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির জন্যও একটি সমাধান”। তিনি বলেন, “কোভিড বা যুদ্ধ – যাই হোক না কেন, এসবের ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত না হওয়ার মতো একটিও শিল্প নেই। একটি স্থিতিস্থাপক সরবরাহ শৃঙ্খলের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে ভারতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকার  জন্য গর্ব প্রকাশ করে বলেন, সরবরাহ শৃঙ্খল রক্ষার জন্য বিশ্ব মিশনের মধ্যে ভারত আজ এক অন্যতম খেলোয়াড় হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।

প্রযুক্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মধ্যে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ইতিবাচক শক্তি যখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে মিলিত হয় তখন তা প্রসারিত হয়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন,  প্রযুক্তি থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যাহার হলে তা দ্রুততার সাথে ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে । শ্রী মোদী এমন একটি বিশ্ব তৈরি করার বিষয়ে ভারতকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন যা সঙ্কটের সময়েও কার্যকর থাকে। তিনি বলেন, “মোবাইল উত্পাদন, ইলেকট্রনিক্স বা সেমিকন্ডাক্টর যাই হোক না কেন, আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার যে, আমরা এমন একটি বিশ্ব গড়তে চাই যা থামবে না। সঙ্কটের সময়ে এগিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতের ক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন এবং এই মিশনের সাথে জড়িত সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষদের শুভেচ্ছা জানান।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ, সেমি-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও অজিত মনোচা, টাটা ইলেক্ট্রনিক্স সিইও ডক্টর রণধীর ঠাকুর, এনএক্সপি সেমিকন্ডাক্টরসের এর সিইও কার্ট সিভার্স, রেনেসাসের সিইও হিদেতোশি শিবাতা এবং  আইএমইসি-র সিইও মিস্টার লুক ভ্যান ডেন হভ প্রমুখ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *