নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের সুরাটে ‘জল সঞ্চয় জন ভাগীদারি’ উদ্যোগের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে রাখার ২৪,৮০০টি কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বৃদ্ধি করা যায় এবং দীর্ঘকাল ধরে জল পাওয়া যায় ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গুজরাট থেকে জলশক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযান শুরু হয়েছে। এবারের বর্ষার মরশুমে বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, দেশের প্রায় সব অঞ্চলই এর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রায় প্রতিটি তহসিলে এতো মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ার ঘটনা দেখেননি বা শোনেননি। তিনি বলেন, গুজরাটকে এবার চরম সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং দপ্তর গুলো এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরী ছিল না। তবে গুজরাটের জনগণ এবং দেশ এই ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং একে অপরকে সাহায্য করছে। তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক অংশ এখনও বর্ষার প্রভাবে কবলিত ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল সংরক্ষণ কেবল একটি নীতিই নয়, একটি প্রচেষ্টা এবং সদগুণও বটে, এতে ঔদার্য্যেরপাশাপাশি দায়িত্বও মিশে রয়েছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, “আগামী দিনে জলই হবে প্রথম মাপকাঠি যার ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের মূল্যায়ন করবে”। তিনি বলেন, এর কারণ হল জল কেবল একটি সম্পদ নয়, জীবন এবং মানবতার ভবিষ্যতের প্রশ্ন। তিনি আরও বলেন, সুস্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য গৃহীত ৯টি প্রস্তাবের মধ্যে জল সংরক্ষণ সর্বাগ্রে রয়েছে। বর্তমানে অর্থপূর্ণ প্রচেষ্টায় জল সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে জনসাধারণের অংশগ্রহণের যে সূচনায হয়েছে এতে শ্রীমোদী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জলশক্তি মন্ত্রক, গুজরাট সরকার এবং এই উদ্যোগের সমস্ত অংশীদারদের শুভেচ্ছা জানান।
পরিবেশ ও জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে বিশ্বের মাত্র ৪ শতাংশ মিঠা জল রয়েছে। তিনি বলেন, যদিও দেশে বেশ কয়েকটি বিশাল নদী রয়েছে, তবুও এক বৃহৎ ভৌগলিক অঞ্চলে জলের অভাব রয়েছে এবং জলের স্তরও দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে জলের ঘাটতি মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েই বলেন যে, জল নিয়ে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও এব্যাপারে একমাত্র ভারতেরই নিজের এবং বিশ্বের জন্য সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ যা উপলব্ধি করেছিল তার প্রতি কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, জল ও পরিবেশ সংরক্ষণ এর বিষয়কে পুঁথিগত জ্ঞান বা কোনও পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত কিছু হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জল ও পরিবেশ সংরক্ষণ ভারতের ঐতিহ্যগত চেতনার অংশ। তিনি বলেন, ভারতের মানুষ এমন একটি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত যেখানে, জলকে ঈশ্বরের রূপ, নদীকে দেবী এবং সরোবরকে দেবতাদের বাসস্থান হিসাবে বিবেচনা করে। তিনি বলেন, গঙ্গা, নর্মদা, গোদাবরী এবং কাবেরীকে মা হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন যে, জল সংরক্ষণ ও জল দান হল সেবার সর্বোচ্চ রূপ, কারণ সমস্ত জীবের উৎপত্তি জল থেকে হয়েছে এবং তারা এর উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ভারতের পূর্বপুরুষরা জল ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতেন। রহিম দাসের একটি দোয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির দূরদর্শিতার কথা তুলে ধরে জল ও পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, গুজরাট থেকে ‘জল সঞ্চয় জন ভাগীদারি’ উদ্যোগের সূচনা হয়েছে এবং নাগরিকদের শেষ মানুষটিও যাতে জল পান তা নিশ্চিত করার জন্য অনেক সফল প্রচেষ্টা করা হয়েছে। শ্রীমোদী আড়াই দশক আগে সৌরাষ্ট্রের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ওই সময় পূর্ববর্তী সরকারের মধ্যে জল সংরক্ষণের দৃষ্টিভঙ্গিরই অভাব ছিল। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের জল সংকটের গুরুতর অবস্থা কাটিয়ে ওঠার সংকল্প তিনি নিয়েছিলেন এবং কয়েক দশক ধরে ঝুলে থাকা সর্দার সরোবর বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা ও চালু করার জন্য উদ্যোগ নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, জলে পরিপূর্ণ এমন এলাকা থেকে জল তুলে নিয়ে ঘাটতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে জল পৌঁছানোর মাধ্যমে সৌনি যোজনাও শুরু করা হয়েছিল। শ্রীমোদী সন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, গুজরাটে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার ফল আজ গোটা বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান।
তিনি উল্লেখ করেন যে, অতীতে হাজার হাজার কোটি টাকার একাধিক জল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু করা হলেও এর ফলাফল গত ১০ বছরেই দৃশ্যমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার সমগ্র সমাজ এবং সমগ্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে”। বিগত ১০ বছরে কাজের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রথমবারের মতো জল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নীরবতা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সমগ্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জল শক্তি মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে”। তিনি জল জীবন মিশনের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল সরবরাহের সংকল্পের কথা উল্লেখ করেন এবং জানান যে, আগে মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল, যা আজ ১৫ কোটিরও বেশি পরিবার পাচ্ছে। দেশের ৭৫ শতাংশেরও বেশি পরিবারে নলের মাধ্যমে পরিস্রুত জল পৌঁছনোর জন্য তিনি জল-জীবন মিশনকে কৃতিত্ব দেন। জল-জীবন মিশনে অবদানের জন্য স্থানীয় জল সমিতিগুলির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, গুজরাটের জল সমিতিগুলিতে মহিলারা যেমন চমৎকার কাজ করছে তেমনি সারা দেশে জল সমিতিগুলিতেও মহিলারা দুর্দান্ত কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, এই জল সমিতিগুলোতে গ্রামের মহিলাদের অংশগ্রহণ অন্তত ৫০ শতাংশ।
জলশক্তি অভিযান কীভাবে আজ একটি জাতীয় মিশনে পরিণত হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী জলের উৎসগুলির সংস্কার হোক বা নতুন কাঠামো নির্মাণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ এতে জড়িত। জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সময় প্রতিটি জেলায় অমৃত সরোবর তৈরির কাজ শুরু হয় এবং আজ দেশে ৬০ হাজারেরও বেশি অমৃত সরোবর নির্মিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একইভাবে, অটল ভূজল যোজনায় ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জ করার জন্য জল সম্পদ পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের দায়িত্বও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে শুরু হওয়া ‘ক্যাচ দ্য রেইন’ প্রচারাভিযানের সঙ্গে আজ বিপুল সংখ্যক মানুষ এর অংশীদার হিসেবে জুড়েছেন। ‘নমামি গঙ্গে’ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এটি নাগরিকদের কাছে একটি আবেগপূর্ণ সংকল্পে পরিণত হয়েছে এবং নদীর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য মানুষ পুরনো ঐতিহ্য ও অপ্রাসঙ্গিক রীতিনীতি ত্যাগ করছেন।
‘এক পেড় মা কে নাম’ অভিযানের মাধ্যমে নাগরিকদের একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বানেই কথা উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনায়নের সঙ্গে সঙ্গে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তিনি উল্লেখ করেন যে, গত কয়েক সপ্তাহে ‘এক পেড় মা কে নাম’-এর মধ্য দিয়ে কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়েছে। শ্রীমোদী এই ধরনের প্রচারাভিযান ও সংকল্পে জনসাধারণের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং বলেন যে, ১৪০ কোটি নাগরিকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জল সংরক্ষণের প্রচেষ্টা একটি জন আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জল সংরক্ষণের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং জল সম্পর্কিত বিষয়ে দেশের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে ‘ব্যবহার হ্রাস, পুনর্ব্যবহার, রিচার্জ এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা’ মন্ত্র গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, জল তখনই বাঁচানো যেতে পারে যখন এর অপব্যবহার বন্ধ হয়, ব্যবহার হ্রাস পায়, জল পুনরায় ব্যবহার করা হয়, জলের উৎসগুলি রিচার্জ করা হয় এবং দূষিত জল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই মিশনে উদ্ভাবনী পন্থা এবং আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ জলের চাহিদা কৃষিতে লাগে, ফলে, জলকে দক্ষতার সাথে চাষাবাদের কাজে লাগানো সুস্থায়ী কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সরকার সুস্থায়ী কৃষির জন্য ড্রিপ সেচের মতো কৌশলের ধারাবাহিক প্রসারে কাজ করে চলেছে। তিনি ‘প্রতি ফোঁটা আরও বেশি ফসল’ এর মতো প্রচারাভিযানের কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, জল সংরক্ষণের পাশাপাশি জলের অভাবগ্রস্ত অঞ্চলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
শ্রী মোদী ডাল, তৈলবীজ এবং বাজরার মতো কম জলের ফসলের চাষে সরকারের সহায়তার কথা তুলে ধরেন। রাজ্য স্তরের উদ্যোগগুলো নিয়ে আরো আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শ্রী মোদী জল সংরক্ষণের পদ্ধতি গ্রহণ ও ত্বরান্বিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের পাশাপাশি মাঠের কাছে পুকুর তৈরি এবং রিচার্জ কূপের মতো পরম্পরাগত জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে হবে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিলে দেশের নাগরিকদের প্রায় ৫.৫ কোটি ঘন্টা সময় লোকেদের সাশ্রয় হবে। তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগ আমাদের বোন ও কন্যাদের সময় ও প্রচেষ্টা বাঁচাতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। শ্রীমোদী উল্লেখ করেন যে, স্বাস্থ্যও জল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ১.২৫ লক্ষেরও বেশি শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে, প্রতি বছর ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ডায়রিয়ার মতো রোগ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে, এবং নিজের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের জল সংরক্ষণ মিশন বাস্তবায়নে শিল্পসংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি যে সমস্ত শিল্পগুলি নেট জিরো লিকুইড ডিসচার্জ স্ট্যান্ডার্ড এবং জল পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জলের স্থায়িত্বের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অনেক শিল্প তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে জল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু করেছে। জল সংরক্ষণের জন্য গুজরাট সরকারের শিল্প সংস্থাদের সিএসআর-কে উদ্ভাবনী উপায়ে ব্যবহারের প্রশংসা করে শ্রী মোদী এটিকে একটি রেকর্ড স্থাপনের প্রচেষ্টা বলে বর্ণনা করেন। “গুজরাট জল সংরক্ষণের জন্য সিএসআর ব্যবহার করে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। সুরাট, ভালসাদ, ডোঙ্গ, তাপি এবং নওসারির মতো জায়গায় প্রায় ১০,০০০ বোরওয়েল রিচার্জ স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, এই সমস্ত উদ্যোগ জলের সংকট দূর করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলের সম্পদ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে। সরকার এবং বেসরকারী ক্ষেত্রের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে শ্রীমোদী ঘোষণা করেন, ‘জল সঞ্চয়-জনভাগীদারী’ অভিযানের মাধ্যমে জল শক্তি মন্ত্রক এবং গুজরাট সরকার এখন আরও ২৪,০০০ টি এধরনের কাঠামো তৈরির জন্য একটি নতুন মিশন চালু করেছে। এই অভিযানকে একটি মডেল হিসাবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন এটা ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও অনুরূপ উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আস্থা প্রকাশ করেন যে, ভারত জল সংরক্ষণে বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। মিশনটির ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা সবাই মিলে ভারতকে সমগ্র মানবতার জন্য জল সংরক্ষণের একটি আলোকবর্তিকা হিসাবে গড়ে তুলব”। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।