ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।।ত্রিপুরার দাবার ইতিহাসে রচিত হলো নতুন অধ্যায়। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা দাবার ইতিহাসে উজ্জ্বলতম দিন হিসেবে পরিচিত থাকবে। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক আসার পাশাপাশি মাইশোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অনূর্ধ্ব-৭ দাবা প্রতিযোগিতায় দুরন্ত পারফরম্যান্স করল অবন্তিকা চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত: ৩ দাবাড়ুই ম্যাট্রিক্স চেস আকাডেমি ছাত্রী। কমনওয়েলথ দাবায় বুধবারে স্বর্ণপদক অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছিল আর্শিয়া দাস এবং আরাধ্যা দাসের। দেখার ছিল বৃহস্পতিবার শেষ রাউন্ডে কি ফলাফল করে ওই দুই দাবাড়ু। অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগের শেষ রাউন্ডে পয়েন্ট ভাগ করতে পারলেই খেতাব নিশ্চিত হয়ে যেত পূর্বোত্তোরের প্রথম ক্যান্ডিডেট মাস্টার দাবাড়ু আর্শিয়া দাসের। কিন্তু আর্শিয়া সে পথে পা দেয়নি। শ্রীলংকার দাবাড়ু-র বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ছিল আক্রমাত্মক। এবং অনায়াসেই জয় পেয়ে যায়। সাত রাউন্ডে সাড়ে ছয় পয়েন্টে অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্শিয়া। আসরে ব্লিটজ, র্যাপিডের পর ক্লাসিক্যাল দাবায় স্বর্ণপদক জয় করে আর্শিয়া। পূর্ণেন্দ ু এবং আর্নিশা দাসের একমাত্র মেয়েটি আসরে তিনটি স্বর্ণপদক জয় করে নজির গড়ে। রাজ্যের প্রথম দাবাড়ু হিসাবে ওই নজীর আর্শিয়ার। এখন উন্মুক্ত দাবায় অংশ নিয়েছে। এদিকে অনূর্ধ্ব ১০ বিভাগে ব্লিটজ এবং র্যাপিড দাবায় পদক না পেলে ক্লাসিক্যাল দাবায় শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য ছিল পূর্বোত্তোরের সর্ব কনিষ্ঠ মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার দাবাড়ু আরাধ্যা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণ পদক জয় করে। দুজনের সাফল্যের খুশি ম্যাট্রিক্স চেস আকাডেমির কোচ প্রসেনজিৎ দত্ত। অভিনন্দন জানান দুই দাবাড়ুকে। শিক্ষক দিবসে আর্শিয়া তার ট্রফি উৎসর্গ করেন তার কোচ প্রসেনজিৎ দত্তকে। আর্শিয়া এবং আরাধ্যার সাফল্যে খুশির হাওয়া রাজ্যের দাবামহলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সংস্থার কর্তাদের পাশাপাশি দাবাড়ুরাও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের এই দুই সোনার মেয়েকে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারতীয় পতাকা তুলে ধরে ওই দুই দাবারুক বুঝিয়ে দিলো আগামীদিনে ৬৪ ঘরের লড়াইয়ে বিশ্বকে কাঁপাতে প্রস্তুত হচ্ছে দুজনেই।