নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ আগস্ট: ত্রিপুরার বন্যাকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য দাবি জানালো সারা ভারত কৃষক সভা। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, কৃষকের সমস্ত ঋণ মুকুব সহ ২০০ দিনের কাজ এবং রেগার অধীনে দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি ও গৃহহীনদের ঘর তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা সাংসদ অমরারাম, সর্বভারতীয় নেতৃত্ব পি কৃষ্ণ প্রসাদ, পবিত্র করসহ অন্যান্যরা।
এদিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নলচর, সোনামুড়া, বেজিমারা এবং বিলোনিয়া গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং ধ্বংসযজ্ঞের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃত্বরা বলেন, ত্রিপুরায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ কৃষি ও মৎস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের ওপর নির্ভরশীল। চাষিরা চাষে বিনিয়োগের সবটুকুই হারিয়ে ফেলেছে এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আয় বৃদ্ধির তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি জলের তোরে ভেঙে পড়েছে।
সাংসদ আমরারাম বলেন, তিনি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অনেক স্মারকলিপি পেয়েছেন এবং তারা অভিযোগ করেছেন যে কোনো রাজস্ব কর্মকর্তারা গ্রামে যাননি এবং ক্ষতির কোনো মূল্যায়ন নিশ্চিত করেননি। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের কাছে মারাত্মক ধ্বংসলীলা গ্রহণ এবং সংসদে উত্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এআইকেএস প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং রাজ্য সরকারের কাছে ত্রিপুরায় বন্যা এবং ভূমিধসকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাতে জোরালো ভাবে দাবি জানিয়েছে।