গুয়াহাটি, ২৯ আগস্ট (হি.স.) : অসমের আদি হিন্দু বিধায়কদের বক্তৃতা না দেওয়ার এক নোংরা প্রবণতা তৈরি করেছেন বিরোধীরা। এই অভিযোগ তুলে এ ধরনের প্রবণতার নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ রাজ্য বিধানসভায় আসাম ল্যান্ড অ্যান্ড রেভিনিউ রেগুলেশন (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০১৪-এর ওপর চর্চা যখন চলছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা তাঁর দলের বিধায়ক ভুবন পেগুর বক্তৃতায় বাধা দেওয়ার জন্য বিরোধী সদস্যদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, হাউসে ভূমিপুত্ৰ হিন্দু বিধায়কদের কথা বলতে না দেওয়ার একটি নতুন প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। একে এক বিপজ্জনক প্রবণতা বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। বিরোধীদের আগ্রাসী না হয়ে তাঁদের জমি দখলের পর বিধানসভা দখলের চেষ্টা না করার আহ্বান জানান তিনি।
ভুবন পেগু তৎকালীন পূর্ববঙ্গ থেকে অসমে কথিত অভিবাসন এবং আগ্রাসনের বিষয়ে পুরনো অ্যাসেম্বলি রেকর্ডের প্ৰসঙ্গে একটি বিবৃতি দিচ্ছিলেন। তখন বিরোধীরা প্রচণ্ড হই-হট্টগোল করতে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে আলোচনা অনিবার্য, কারণ সেগুলি জীবনের বাস্তবতা। উদাহরণ হিসাবে আদমশুমারির উদ্ধৃতি দিয়েছেন তিনি। বিধানসভায় পাসকৃত বিলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. শৰ্মা বলেন, বিলটি অসমিয়া সমাজ বেঁচে থাকার পথ প্ৰশস্ত করবে। তাঁর দাবি, অসমিয়া সমাজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। তিনি বলেন, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, বরপেটা, দরং, নগাঁও এবং মরিগাঁও জেলায় জমি হারিয়ে গেছে। অসমিয়া সমাজ এখন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদে কংগ্রেস বিধায়করা হাউস থেকে ওয়াকআউট করেন।