আগরতলা, ২৩ আগস্ট : সংকটজনক অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর অস্ত্রোপচার করে সন্তানের প্রসব করালেন চিকিৎসকরা। বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে গতকাল রাত একটা নাগাদ এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন হাসপাতালে চিকিৎসকরা। চোত্তাখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ওই রোগীনির উচ্চ রক্তচাপ ছিল এবং তার জরায়ুতে জল ভেঙে গিয়েছিল। ২২ আগস্ট বিকেল চারটা নাগাদ ওই গর্ভবতী মহিলাকে চোত্তাখলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রাস্তায় বড়পাথরী এলাকাতে বন্যার জলে আটকে পড়ে তারা।
ঘটনার খবর পেয়ে এনডিআরএফ টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। সাড়ে সাতটা নাগাদ রোগীনিকে বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছাতে সক্ষম হয় তারা। তাদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে ও অস্ত্রোপচার দ্রুত সুসম্পন্ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জেলাশাসক স্মিতা মল, এসিস্ট্যান্ট কালেক্টর কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত দাস, বিলোনিয়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিমল কলই এবং দক্ষিণ জেলার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অফিসার ডাঃ মনীষ চৌধুরী। রোগীনিকে পরীক্ষা করে তড়িঘড়ি অপারেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাত একটা নাগাদ চিকিৎসকসহ মেডিকেল টিম অস্ত্রোপচার শুরু করেন। রাত দেড়টা নাগাদ ২.৭ কেজি ওজনের একটি পুত্র সন্তানের প্রসব করাতে সমর্থ হন চিকিৎসকরা। উক্ত মেডিকেল টিমে ছিলেন বিলোনিয়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিমল কলই, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্নেহাংশু দাস, এনেস্থেসিওলজিস্ট ডাঃ জয়দেব চৌধুরী, সিনিয়র নার্সিং অফিসার স্বপ্না রাণী দেবনাথ, নার্সিং অফিসার সোমা সাহা, সঞ্চিতা সোম, মিঠু মল্লিক, ওটি অ্যাসিসট্যান্ট প্রেমতোষ দত্ত প্রমুখ। মা ও সন্তান দুজনই সম্পূর্ণরূপে সুস্থ রয়েছেন। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকায় রোগীর আত্মীয় পরিজনরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

