কলকাতা, ২১ আগস্ট (হি. স.) : ভারতের ধাতু ও ইস্পাতশিল্পের পরিধি ও গুরুত্ব বাড়ছে। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স) চালু হওয়ায় এই শিল্পের প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক বানিজ্যে এই ক্ষেত্রের প্রবৃদ্ধির সুফল যাতে ছোট নির্মাতারাও পান, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে এমএসএমই ডেভলপমেন্ট ফোরাম।
বুধবার ‘এমএসএমই ডেভলপমেন্ট ফোরাম’ এবং ‘স্টার্ট আপ এক্সেলরেটর্স প্রেসেন্ট’ কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘মেটাল কনক্লেভ’ নামে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। তাতে বিভিন্ন এই ক্ষেত্রের নানা স্তরের সংস্থার আধিকারিকরা অংশ নেন।
২০০৬ সালে ভারত সরকার মাইক্রো, স্মল এবং মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) উন্নয়ন আইনের অধীনে এই ক্ষেত্রের নিয়মনীতি চালু করে। ‘এমএসএমই ডেভলপমেন্ট ফোরাম’-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিভোর ট্যান্ডন এই প্রতিবেদককে বলেন, দেশের মোট জিডিপি-র ৩৫ শতাংশের ওপর পাওয়া যায় এমএসএমই থেকে। জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন ধরণের সামগ্রি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধাতু ও ইস্পাতশিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। এমসিএক্স-এর ‘স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যান্ড লিস্টিং’ সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই। ‘এমএসএমই ডেভলপমেন্ট ফোরাম’-এর প্রায় ২৫০ সদস্য এবং ‘স্টার্ট আপ এক্সেলরেটর্স’-এর প্রায় ৮০০ সদস্যকে এই শিল্পের বিভিন্ন আপাত অজানা দিক সম্পর্কে জানানোটা আমাদের অন্যতম মূল লক্ষ্য।
এদিন শিবিরের ‘ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’-এ তিনি ছাড়াও অংশ নেন চিত্তরঞ্জন রেগে, মহেশ অগ্রবাল, বিসিসিঅ্যান্ড আইয়ের চেয়ারম্যান তথা টাটা স্টিলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় বেহরা। আলোচনায় প্রশ্ন-উত্তরে কাঁচা মালের মূল্য, বিক্রয়মূল্য, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে উঠে আসে ‘রোল অফ রেগুলেটর্স’, ‘প্রাইস মেকানিজম’ প্রভৃতির প্রয়োজনীয় নানা বিষয়। ‘গোল্ড’, ‘সিলভার’ ও ‘ব্রোঞ্জ’— এই তিন গোত্রের সার্টিফিকেশন ও তার নিয়মনীতির কথা। জানানো হয়, এই প্রত্যায়ন থাকলে কেন্দ্রীয় ভর্তুকি পাওয়া যায়। ২০টি নির্দিষ্ট মাপকাঠি পূরণ করতে পারলে ‘গোল্ড’ মিলবে।
‘রোল অফ ফিনান্সিং ইন মেটাল সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন অভীক গুপ্তা, মমতা বিনানী, প্রজ্ঞা ঝুনঝুনওয়ালা প্রমুখ। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে জিএসটি-র মত আর্থিক ও কর-বিষয়ক কিছু প্রসঙ্গ। মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন একটি বেসরকারি সংস্থার পথস্থ আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও বেসরকারি সংস্থার কিছু শীর্ষ প্রতিনিধি।