টানা বর্ষণে বিপর্যয়ের হাতছানি রাজ্যে, সতর্কতা জারি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু প্রশাসনের

আগরতলা, ২০ আগস্ট : ত্রিপুরায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের গভীর সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টানা বর্ষণের জেরে ত্রিপুরায় নদীগুলি ফুঁসছে। ফলে, বন্যার আশঙ্কায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, ভারী বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশী প্রভাব দক্ষিণ জেলায় দেখা যাবে। 

আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার ওই জেলায় ২১ সেন্টিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আবহাওয়া দফতর দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় লাল সর্তকতা জারি করেছে। সাথে জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ত্রিপুরায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, আগামী দুই দিনের জন্য আবহাওয়া দফতর সারা ত্রিপুরায় কমলা সর্তকতা জারি করেছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, আজ এখন পর্যন্ত আগরতলায় ৭৬ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তেমনি, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার এডিনগরে ১৫৪ এমএম, লেম্বুছড়া ১৪৪.৮ এমএম,  বোধজংনগরে ১৫৭ এমএম, ডিএম অফিসে ১৪০ এমএম, সচিবালয়ে ১১২ এমএম এবং হাওড়া ১১৮.৮ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তেমনি, সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ায় ১৪৭.২ এমএম, বিশালগড় ৮৪.৬ এমএম, বিশ্রামগঞ্জে ১৪৪.৫ এমএম, গজারিয়ায় ১৭৮.৮ এমএম এবং সোনামুড়ার মোহনবাগ  এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।  খোয়াই জেলায় ১১৫.৪ এমএম এবং তেলিয়ামুড়ায় ২০৯ এমএম, গোমতী জেলায় উদয়পুরে ১৫৭ এমএম, অমরপুরে ৩০৭.২ এমএম, করবুকে ১৫২.১ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

তাছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়ায় ৩২৪ এমএম, সাব্রুমে ২০৬ এমএম, বাগাফা ৩৭৫.২ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তেমনি, উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগরে ১৬৫.৭ এমএম, কাঞ্চনপুরে ৮২.২ এমএম, কদমতলায় ১০১ এমএম এবং নতুনবাজার ১৪২.৩ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তেমনি, ঊনকোটি জেলায় কৈলাসহরে ১৭০ এমএম, কুমারঘাটে ২২৬.২ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ধলাই জেলায় ছাওমনু ১৪৪ এমএম, গন্ডাছড়ায় ১৭৪ এমএম, কমলপুরে ২২৭.৮ এমএম এবং মনুঘাটে ১৬১ এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *