# ঢাকাসহ সারা দেশে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক
ঢাকা থেকে মনির হোসেন।। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মাধ্যমে কিছু লোক একটা গোলমাল লাগানোর জন্য ইন্ধন যোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান বৌদ্ধদের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। শনিবার রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পত্রপত্রিকায় আসতেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হইতেছে। কী জন্য তাদের নিয়ে টানাটানি করতেছে, তারা কি দেশের মানুষ না? তোমরা (শিক্ষার্থী) দেশ রক্ষা করতে পেরেছ, কয়েকটা (সংখ্যালঘু) পরিবার রক্ষা করতে পারবা না!
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ জনসাধারণের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে বিজিবি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ও গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার রাতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে বিজিবি যেখানে হিন্দু-মুসলিমসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকাসহ সারা দেশে রবিবার সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে তিন সংখ্যালঘু সংগঠন। শনিবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কথা জানান। সংখ্যালঘু তিন সংগঠনের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাভুক্ত সংগঠনগুলো। অনতিবিলম্বে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনটি সংখ্যালঘু সংগঠন।