নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ আগস্ট:
ট্রিপল আইটি পড়ুয়া ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুতে গতকাল রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আগরতলার এনআইটি। পর্রবতী সময়ে পুলিশের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আজ দুপুরে কলেজে ছুটে গেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি গিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, যতদূর জানা গেছে ওই ছাত্র আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তাকে প্রথমে তাদের স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে জিবিপি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবার পরিজনরা যখন তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তখন তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা যথেষ্ট হৃদয় বিদারক। কিন্তু এর পেছনে কি কারণ রয়েছে তা যাচাই করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের তরফ থেকে একটি মেমোরেন্ডাম প্রদান করা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট। কলেজ কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সংবেদনশীল অবস্থায় গোটা বিষয়টি দেখছেন। ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করে ঘটনার যাচাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার পেছনে সবগুলি বিষয় যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে যাচাই করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিকে আজ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রদেশ এনএসইউআই-এর সভাপতি স্বরূপ কুমার শীল পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন এবং আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ওই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংগঠনের দাবি, অতিসত্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তারপর কলেজ কর্তৃপক্ষ ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন বলে জানান তিনি। যদি ওই কমিটিতে সত্য উঠে না আসে তা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড় থেকে আগরতলায় এনআইটিস্হিত ট্রিপল আইটিতে ভর্তি হয়েছিলেন অভিজিৎ পান্ডা। বেশ কয়েকদিন যাবৎ সে অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কিন্তু অসুস্থতাবোধ করার পরও ট্রিপল আইটির কতৃর্পক্ষ তাকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি বলে, অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের। আরও অভিযোগ, উপরোক্ত জিবি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার শারীরিক খোঁজখবর পর্যন্ত নিতে কলেজ কতৃর্পক্ষ আসেন নি। এই খবর পেয়ে গতকাল ছত্তিসগড় থেকে তার পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। গতকালই তারা তাকে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মাঝ রাস্তায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের বক্তব্য, চিকিৎসকদের পরার্মশ মেনেই তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই এনআইটি চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কলেজ কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে নি। তারপর পুলিশকে খবর পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।