আগরতলা, ২৬ জুলাই: গন্ডাছড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডাছড়া মহকুমা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিন সন্ধ্যারাতে একদল দুষ্কৃতিকারী বাঙালি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট দেখে দেখে লুট পাট,অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাতে করে হরিপুর, ত্রিশ কার্ড, দুর্গাপুর গ্রামের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে তারা গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে শরনার্থী ক্যাম্পে রয়েছে। তাছাড়া নারায়ণপুর বাজার এবং পিচলিঘাট বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় এবং রাজ্য সরকার থেকে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়, তা শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিলিবন্টন করা হবে। এ পর্যন্ত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিকঠাক থাকলেও সন্ত্রাস কবলিত এলাকার বাকি পরিবারগুলো কি হালচালে আছে তা দেখার জন্য কেউ নেই। বলা হচ্ছে সন্ত্রাস কবলিত ৩০ কার্ড গ্রামের কথা।
গ্রামবাসীরা জানান, গত ১২ জুলাই সন্ধ্যা রাতের ঘটনা মনে পড়লে আজও তাদের শরীর শিউরে উঠে। এদিন দুষ্কৃতিকারীরা একে একে ১৭ টি পরিবারের বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেয়। তাছাড়া বাকি আরো ৩৫টি পরিবারের বাড়ি ঘর, দোকানপাট লুটপাট করে নিয়ে যায়। এমত অবস্থায় বর্তমানে ৩৫ পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। তারা তাদের বাপ-দাদার ভিটামাটি রক্ষা করতে সারারাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে। এইভাবে দিনের পর দিন পুরুষ লোকেরা রাতে পাহারা দেয় আর দিনে ঘুমায়। স্বাভাবিকভাবেই তাদের পক্ষে দিনের বেলা কাজকর্ম করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায় এসব পরিবার গুলো গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের নিকট ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়নি এমনটাই তাদের অভিযোগ। এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ৩০ কার্ড গ্রামে অতি দ্রুত সিআরপিএফ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান। এছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে না আসায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা আশা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী করুন চিত্র দেখতে যাবেন।