BRAKING NEWS

বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেনি : প্রদেশ বিজেপি সভাপতি  

আগরতলা, ২৫ জুলাই: বিরোধীদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তার দায়ভার বিজেপি সরকারের নয়। অন্যান্য নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬৩৭০ টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ৪৫৫০ টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি মনোনীত প্রার্থিরা। অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮২০ আসনে গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তেমনি,  পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে মোট আসন রয়েছে ৪২৩টি। তার মধ্যে ২৩৫ টি আসনেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। অর্থাৎ ১৮৮ টি আসনে এবারের পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। 

এদিন তিনি আরও বলেন, একই ভাবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিলা পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ১১৬। তারমধ্যে ২০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ ২০ টি আসনে জিলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই জয়ের জন্য বিজেপির সমস্ত কার্যকতা এবং ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

তাঁর কথায়, লোকসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট যে জনগণ বিজেপি সরকারের পাশে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জনগণের স্বার্থে যে উন্নয়নমূলক কাজ করছেন তার প্রমাণ নির্বাচনের ফলাফল। 

তাঁর কটাক্ষ, সিপিএমের রাজত্বে বহু কংগ্রেস কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছেন, বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। আজ রাজ্যে বামগ্রেসের আঁতাত হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার আগেই গ্রাম পঞ্চায়েতে, জিলা পরিষদে এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৭১ শতাংশ আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এই ব্যাপক জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা এবং প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *