নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত ফোর-জি’র ক্ষেত্রে বিশ্বকে অনুসরণ করেছিল, ফাইভ-জি’র ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েছিল, এবার সিক্স-জি’র ক্ষেত্রে ভারতই নেতৃত্ব দেবে গোটা বিশ্বকে| নয়াদিল্লিতে আজ ‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-২০২৪’-এর মূল ভাবনা ‘দ্য ফিউচার ইজ নাও’-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ এবং উত্তরপূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এম. সিন্ধিয়া|
আগামী ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর থেকে নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-২০২৪| ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান| এ বছর অষ্টম বারের মত হবে এর আয়োজন| সহযোগিতায় আছে দূরসঞ্চার বিভাগ (ডিওটি) এবং সেলুলার অপারেটরস এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই)| একই সঙ্গে ১৪ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রগতি ময়দানেই অনুষ্ঠিত হবে ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি’ (ডব্লিউ টি এস এ-২০২৪)-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলন|
ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-২০২৪ (আইএমসি) প্রযুক্তির বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভাবনী সমাধান, পরিষেবা এবং অত্যাধুনিক ব্যবহারের প্রদর্শনীর এক সঠিক মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে| যেখানে থাকবে পাঁচ শতাধিক ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক ও মত বিনিময় অনুষ্ঠান এবং এক হাজারের বেশি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী, ইনকিউবেটর বা বাণিজ্য-সহায়ক সহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার এক সুযোগ| এদিনের অনুষ্ঠানে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় টেলিকম এক্সিলেন্স পুরস্কার-২০২৩-এর ঘোষণা করেছ দূরসঞ্চার বিভাগ (ডিওটি)|
‘ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-২০২৪’-এর মূল ভাবনা ‘দ্য ফিউচার ইস নাও’-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ এবং উত্তরপূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রী শ্রী সিন্ধিয়া বলেছেন, “মানুষকে যে একত্রিত করে, সেটাই প্রযুক্তির সর্বোত্তম বিষয়| আর এই ক্ষেত্রে আমাদের ভারতের চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হতে পারে না|” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গীকারবদ্ধতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দূরত্বের ব্যবধান ঘুচাতে প্রযুক্তির ভূমিকার উপর জোর দেন| তিনি বলেন, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক-এর প্রযুক্তিই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গ্রামের সংযোগ ঘটাবে|
মন্ত্রী সিন্ধিয়া ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস-২০২৪ (আইএমসি)-কে বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে বলে উল্লেখ করে বলেন, “আগামী দিনে আমি ভারতকে এর কেন্দ্রবিন্দুতে দেখার আশা করছি| অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ‘দ্য ফিউচার ইজ নাও’ আমাদের সক্ষমতা, আমাদের অর্জন এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে প্রতিনিধিত্ব করছে|”
গত ১০ বছরে টেলিকম ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত প্রযুক্তির ব্যবহারকারী থেকে এখন প্রযুক্তির সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে| তিনি টেলিকম আইন-২০২৩, পিএলআই স্কিম, দ্রুততম ফাইভ-জি চালু করা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রশংসা করেন| অনুষ্ঠানে দূরসঞ্চারের বিভিন্ন উদ্ভাবনা, টেলিকম স্কিলিং, টেলিকম সার্ভিস, টেলিকম ম্যানুফ্যাকচারিং এবং টেলিকম অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অসামান্য অবদানের জন্য মনোনীতদের পুরস্কার প্রদান করা হয়|
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্টার্ট-আপ ও লঘু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্পেরও সূচনা করেন এবং সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এন.টি.আই.পি.আর.আই.টি. এবং আইআইটি জম্মুর মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করেন। অনুষ্ঠানে যোগাযোগ মন্ত্রকের টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. নীরজ মিত্তল স্বাগত ভাষণ রাখেন|