BRAKING NEWS

অনবোর্ড হাউসকিপিং পরিষেবা এবং গার্বেজ ডিসপোজ্যাল সিস্টেম চালু এনএফ রেলের

গুয়াহাটি, ১৬ জুলাই (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে যাত্রীদের আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ট্রেন যাত্রায় পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজের অধিক্ষেত্র থেকে যাত্রাকারী অধিকাংশ ট্রেনে অনবোর্ড হাউসকিপিং পরিষেবা (ওবিএইচএস) চালু করেছে। রেলওয়ে চত্বর এবং ট্রেনের কোচগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সমর্থিত বিভিন্ন পরিবেশ-বান্ধব প্রচেষ্টা এবং ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। ওবিএইচএস-এর অধীনে কোচগুলি যাত্রার পর দিনে দুবার বাধ্যতামূলকভাবে এবং তার পর যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ইতিমধ্যেই ৬৩ জোড়া ট্রেনে ওবিএইচএস সেবা চালু করেছে।উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে আজ মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, চলন্ত ট্রেন থেকে তথ্য পাওয়ার পর ওবিএইচএস সুপারভাইজার, কন্ট্রোল অফিস এবং যাত্রীর কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএস প্রাপ্ত হয়। তার পর যাত্রীদের অভিযোগ নথিভুক্ত করে প্রতিকারের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া, শৌচালয় পরিষ্কার, কোচ ক্লিনিং ইত্যাদির জন্যও অন-বোর্ড হাউসকিপিং টিমের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থার ফলে শৌচালয় ও কোচের পরিচ্ছন্নতার মানও উন্নত হয়েছে এবং পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত যাবতীয় যাত্রীদের অভিযোগ হ্রাস পেয়েছে।অধিকন্তু, ক্লিন ট্রেন স্টেশন (সিটিএস) স্কিমের অধীনে দীর্ঘ দূরত্বের চলমান ট্রেনগুলি রেলওয়ের দ্বারা বিশেষভাবে নিযুক্ত নামী এবং পেশাদার এজেন্সিগুলি নির্ধারিত ট্রেন থামার সময় মনোনীত স্টেশনগুলিতে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার পরিছন্ন করে থাকে। সিটিএস টিম উচ্চ চাপের জেট মেশিন এবং পরিবেশ-বান্ধব বায়ো-ডিগ্রেডেবল ক্লিনিং এজেন্ট ব্যবহার করে ট্রেনের অভ্যন্তরীণ অংশ, বিশেষ করে শৌচালয়, দরজা, করিডোর পরিষ্কার করে থাকে। পাশাপাশি, দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রার সময় যে আবর্জনা জমা হয় তা নিয়মিতভাবে ট্রেনটিকে পরিষ্কার রাখতে লামডিং, গুয়াহাটি, আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ি এবং কাটিহারের মতো মনোনীত স্টেশনগুলিতে ট্রেন থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।প্রতিটি যাত্রীর রেল ভ্রমণ আরামদায়ক করার লক্ষ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করে চলছে। এক্ষেত্রে ট্রেনের বগি পরিষ্কার রাখতে যাত্রীদের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। ট্রেনের মেঝেতে খাবার এবং অন্যান্য ফেলে দেওয়া জিনিস ছুঁড়ে ফেলার পরিবর্তে, ট্রেনের ভিতরে রাখা ডাস্টবিন ব্যবহার করার জন্য প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *