নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৪ জুলাই: শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে শিব পূজার প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আরও ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডে অবস্থিত অরুণ নাথের বাড়িতে। গত বৃহস্পতিবার অরুণ নাথের বাড়িতে শিব মন্দির প্রতিস্থাপনের অনুষ্ঠানে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের শিব পূজার প্রসাদ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রসাদ খাওয়ার পর আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা যার যার বাড়ি ফিরে যান।
রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সকলেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন। তাদের পাতলা পায়খানা, বমি, জ্বর ও মাথা ব্যাথার উপসর্গ দেখা দেয়। তড়িঘড়ি বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত দশটার দিকে ধর্মনগর শাখাই বাড়ি স্থিত হেল্থ কিউর নার্সিং হোমে শলিন্দ্র দেবনাথ (৫৯) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির বাড়ি দেওয়ান পাশা এলাকায়।
ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা রবিবার দেওয়ান পাশার অরুণ নাথের বাড়িতে ছুটে যান এবং বিভিন্ন মশলার প্যাকেট উদ্ধার করেন। তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র বিভিন্ন মশলার প্যাকেট ও পাঁচফোড়নের প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। যা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে অনিক দেবনাথ ও অসুস্থ ব্যক্তি সুদর্শন নাথ ও আশুতোষ নাথরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শিব পূজার কাঁচা প্রসাদ ও খিচুড়ী প্রসাদ খাওয়ার পর থেকেই তাদের শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। তাদের ধারনা, প্রসাদে বিষক্রিয়া হয়েছে।
ফুড সেফটি দপ্তরের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। তারা বলছেন, সচরাচর ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকদের মাঠে তেমন কোন অভিযান করতে দেখা যায় না। বিভিন্ন হাট-বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নামি-বেনামী খাবারের ছড়াছড়ি। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এক ব্যক্তির মৃত্যুর দায় কে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয় ফুড সেফটি দপ্তর ও মহকুমা প্রশাসন গোটা ঘটনার তদন্তক্রমে কি ভূমিকা পালন করে।

