নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৫ জুলাই:
রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্ন চিহ্নে দাঁড়িয়েছে। উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি ও ধর্মনগর থানার পুলিশ ২৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে।
ধৃতদের মাঝে ১৬জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৭ জন নাবালিকা সহ শিশু রয়েছে। জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর চুরাইবাড়ি থানার নাকা পয়েন্টের কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা এমএল০৫-টি-৮৩৮২ নম্বরের একটি নৈশ্যবাসে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলাকালীন সময় দুইজন পুরুষ ও তিনজন মহিলার কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়।
পড়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে এসে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালালে জানা যায় সকলেই বাংলাদেশের কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরনার্থী। এমর্মে থানার নব্য অফিসার ইনচার্জ খোকন সাহা জানান, ধৃতরা ধনপুরের ভারত বাংলা সীমান্ত দিয়ে দালাল মারফৎ অবৈধভাবে রাজ্যে প্রবেশ করেছে। সকলেই কাজের উদ্দেশ্যে নৈশ্য বাসে করে হায়দ্রাবাদের রয়েল কলোনির উদ্দেশ্য যাওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হায়দ্রাবাদে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত ছিল।
ধৃতরা যথাক্রমে আব্দুল ইলাহি(২২),আব্দুল শুক্কুর (১৯),রুমি বেগম(১৯),রোজীনা বেগম (২২) এবং ছখিনা বেগম (১৮)।ধৃত রুমি বেগমের সাথে তার দুই শিশু কন্যাও রয়েছে। স্থানীয় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এদিকে এদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার ভেতর ধর্মনগর থানার পুলিশ ধর্মনগর আইএসবিটি থেকে ১৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী আটক করে। ধৃতদের মাঝে এগারো জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, মহিলা সহ পাঁচ জন নাবালিকা সহ শিশু রয়েছে। ধৃতরা মুস্তফা খতরু(৬০),তৌয়াবা(৩৫),ফাতিমা খাতুন (২৫), রাহানা বেগম(৩৮), মোহাম্মদ সাবি(৩০), মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৩৯),ফৌজুল ইসলাম(২২), মোহাম্মদ সুলতান (২৮),নুর মোহাম্মদ (৬৮), আব্দুল মালিক (২৩) এবং মোহাম্মদ হাছান (৩৩)। সাথে আটক পাঁচ নাবালিকা ও শিশু।
বর্তমানে উভয়েই ধর্মনগর থানা ও মহিলা থানায় রয়েছে। জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। তাছাড়া সকলেই নৈশ্য বাসে করে কাজের সন্ধানে বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দেবার কথা ছিল। স্থানীয় থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।