নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুন: পশ্চিমবঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বিজেপি রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে চার সদস্যক কমিটি গঠন করেছিলেন। আজ ওই কমিটির প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রীয় সভাপতির হাতে রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন।
আজ রিপোর্ট পেশ করার পর সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক নৃশংসতা ও প্রশাসনিক সন্ত্রাসের বাস্তব চিত্র সম্বলিত দলিল তথা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা আজ রিপোর্টটি ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র ও রাজ্যের মানুষের রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি তন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এক কালো অধ্যায় রচনা করলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শাসক দল তৃনমূল আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা বিরোধী দলের কর্মী ও ভোটারদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। তৃনমূলের আশ্রিত গুন্ডাদের দ্বারা প্রকাশ্য ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, সহিংসতা এবং আক্রমণ বাংলায় নির্বাচনের একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। তার থেকে মর্মান্তিক ঘটনা হল তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে ঘটে যাওয়া ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। যার কাছে নারীর মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ নয়, নির্বাচনে জয়লাভ করা বড় বিষয়।
সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের সন্ত্রাস নতুন বিষয় নয়। প্রতিটি নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়। মহিলাদের নির্যাতন, ধর্ষণ সহ হত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে। সেখানে কোনো প্রশাসনিক সাহায্য পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। কোন ধরনের এফআইআর নেওয়া হচ্ছে না। থানা পুলিশ গুলিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস ঘর বানিয়ে রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। এ ধরনের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরের দিনই মানুষের বাড়ি ঘরে ঢুকে হত্যা করা হচ্ছে বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, ৬-৭ জন মিলে মহিলাদের ধর্ষন করছেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।