আগরতলা, ২৮ জুন: জলে ডুবা প্রতিরোধে আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক জনসচেতনতা ও প্রশিক্ষণ শিবির পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. বিশাল কুমার।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই শিবিরের আয়োজন করে। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ব্রাঞ্চ অফিসার ক্ষিরোদ দেববর্মা, জেলা প্রোগ্রাম আধিকারিক পিংকি পাল, এনডিআরএফ-১ম ব্যাটেলিয়ানের ইন্সপেক্টর আর কে মিনা, ইন্সপেক্টর মানদীপ মালিক, ইন্সপেক্টর অজিত কুমার ছাড়াও আগরতলা পুর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সচিবগণ, বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।
প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার বলেন, জলে ডুবা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এবছর এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৮ জন জলে ডুবে মারা গেছেন। এরমধ্যে ৩ জন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার। জেলায় এই হারকে শূণ্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জুন মাসকে জলে ডুবা প্রতিরোধ মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। জেলাশাসক আশা প্রকাশ করেন এনডিআরএফ, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও আগরতলা পুর নিগমের ওয়ার্ড সচিবগণ এই বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেবেন। জেলাশাসক বলেন, জলে ডুবে মৃত্যু হলে বা আহত হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহায়তা দেওয়ার সংস্থান রয়েছে।
প্রশিক্ষণ শিবিরে এনডিআরএফ-এর ইন্সপেক্টর আর কে মিনা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ত্রিপুরাসহ অন্যরাজ্য ও অন্য রাষ্ট্রে জলে ডুবে মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরেন। তিনি এই বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে ও সাঁতার শেখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রশিক্ষণ শিবিরের পর ইন্সপেক্টর আর কে মিনার নেতৃত্বে এনডিআরএফ-এর জওয়ানগণ এবং স্বেচ্ছা সেবকগণ দুর্গাবাড়ি দিঘীতে জলে ডুবে গেলে সে ব্যক্তিকে উদ্ধার, প্রতিরোধ ও ত্রাণ কার্য চালানোর বিষয়ে মহড়ায় অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, সাধারন নাগরিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ।