ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।।
সুদীর্ঘ ৬ বছর পর। অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্য সাব জুনিয়র এবং সিনিয়র খো খো প্রতিযোগিতা। গেলো বছর রাজ্য সংস্থার সম্পাদিকা নির্বাচিত হওয়ার পর মিনতি পাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর বঞ্চিত করা হবে না রাজ্যের খো খো খেলোয়ারদের। প্রতিভাবান খেলোয়ারদের বের করার লক্ষ্য নিয়ে করা হবে রাজ্য আসর। সম্পাদিকার সেই সিদ্ধান্ত পূর্ণ হতে চলেছে। দুদিন ব্যাপী ৩৪ তম রাজ্য সিনিয়র এবং ২৯ তম রাজ্য সাব জুনিয়র খো খো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শনিবার। উদীয়মান সংঘের উদ্যোগে এবং রাজ্য খো খো সংস্থার সহযোগিতায় রামঠাকুর স্কুল মাঠে হবে আসর। শনিবার বিকেল তিনটায় আসরের উদ্বোধন করবেন ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায়। উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, ক্রীড়া পর্ষদের সচিব সুকান্ত ঘোষ, রাজ্য খো খো সংস্থার সভাপতি বিদ্যুৎ দেববর্মা, ত্রিপুরা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন রতন সাহা, ৩১ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর অঞ্জনা দাস এবং নয় বনমালীপুর মন্ডল এর সভাপতি চন্দ্রশেখর দেব। উদ্বোধনের পরেই শুরু হবে রাজ্য আসর। দিবারাত্রি এবারের আসরে সাবজুনিয়র বিভাগে ১৬ টি এবং সিনিয়র বিভাগের কুড়িটি দল অংশ নিয়েছে। শুক্রবার উদীয়মান সংঘে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান ক্লাব সভাপতি সমর সাহা। আসরকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড মার্ক ফাউন্ডেশন। প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা বাজেটে হচ্ছে এবারের আসর। আসর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উদ্যোক্তারা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও খেলোয়াড়দের কপালে ভাঁজ। অনবরত বৃষ্টি নিয়েই দুশ্চিন্তায় খেলোয়াড়রা। বৃষ্টির ফলে মাঠ অনেকটাই পিচ্ছিল থাকবে। এতে চোট আঘাতের সম্ভাবনা থেকেই থাকবে। রাজ্য খো খো সংস্থার সম্পাদিকা মিনতি পাল বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই রাজ্যের খেলোয়াড়রা বঞ্চিত হয়ে আসছে। এর পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। সম্পাদিকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম খেলোয়ারদের স্বার্থে রাজ্য আসর করবই। ক্রীড়া পর্ষদের পাশাপাশি উদীয়মান সংঘের সহযোগিতায় হচ্ছে এবারের আসর। চেষ্টা করা হবে আসরকে স্মরণীয় করে রাখতে। সাংবাদিক সম্মেলনে এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সংস্থার কোষাধ্যক্ষ সুব্রত পাল এবং উদীয়মান সংঘের সচিব রজত পাল প্রমুখ। স্পনসরার ওয়ার্ড মার্ক ফাইন্ডেশেনর পক্ষ থেকে এদিন জার্সি প্রদান করা হয়।