নয়াদিল্লি, ২৬ জুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের অধ্যক্ষ হিসেবে ওম বিড়লা নির্বাচিত হওয়ার পর লোকসভায় ভাষণ দিলেন।পর পর দ্বিতীয় বারের জন্য অধ্যক্ষ হিসেবে গৃহীত হওয়ায় ওম বিড়লাকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সংসদের অধ্যক্ষকে শুভেচ্ছা জানান। এই অমৃত কালে দ্বিতীয়বার ওম বিড়লার নির্বাচনের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বললেন, এক দিকে তাঁর রয়েছে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা এবং অন্যদিকে সদস্যদেরও তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকার কারণে পুনর্নির্বাচিত অধ্যক্ষ হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাঁকে যথেষ্ট সক্ষমতা দেবে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষের মার্জিত ও বিনম্র ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর জয় করে নেওয়ার মতো হাসি, সদন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁকে খুবই সহায়তা করে।
প্রধানমন্ত্রী আস্থা ও আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, পুনর্নির্বাচিত অধ্যক্ষ নতুন নতুন সাফল্য অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখবেন । তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, বলরাম জাখর ছিলেন প্রথম ব্যাক্তিত্ব যিনি পর পর পাঁচ বছরের জন্য এই পদে আসীন ছিলেন এবং আজ এই পদেই আসীন হলেন ওম বিড়লা যিনি ১৭-তম লোকসভা পরিচালনার কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করার পর ১৮-তম লোকসভাকেও বিপুল সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দায়িত্বভার অর্জন করলেন। পাশাপাশি তিনি আরো একটি প্রসঙ্গের উপর অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন, মাঝখানে দীর্ঘ ২০ বছর ধলে ছিল অন্য রকম প্রবণতা, তখন যাঁরা অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা তাদের নিয়োগের পর হয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করেননি নয়তো নির্বাচনে বিজয়ী হননি। কিন্তু আজ দীর্ঘ ২০ বছর পর ওম বিড়লা পুনরায় বিজয়ী হয়ে অধ্যক্ষ পদে ফিরে এসে এক নতুন ইতিহাস রচনা করলেন।
প্রধানমন্ত্রী একজন সাংসদ হিসেবে অধ্যক্ষের কাজ করার বিষয়টির উপরও লেখাপাত করেন। ওম বিড়লার সংসদীয় ক্ষেত্রে ‘সুস্থ মা এবং সুস্থ শিশু’ শীর্ষক উল্লেখযোগ্য প্রচারকর্মের উপর আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, বিড়লা তাঁর নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র কোটার গ্রামীন এলাকাগুলোয় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে খুবই ভাল কাজ করেছেন। পাশাপাশি নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে ক্রীড়ার উন্নয়নে বিড়লার ভুমিকার সবিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ।
বিগত লোকসভায় বিড়লার নেতৃত্বের প্রসঙ্গটি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী এই সময় পর্বকে সংসদীয় ইতিহাসের সুবর্ণ অধ্যায় বলে অবিহিত করেন। তিনি ১৭-তম লোকসভা চলা কালে যে সব রুপান্তরধর্মী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা স্মরণ করে অধ্যক্ষের ভুমিকার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, ওম বিড়লার অধ্যক্ষতার সময়েই নারী শক্তি বন্ধন অভিযান, জম্মু কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস, ভারতীয ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, সামাজিক সুরক্ষা সংহিতা, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, মুসলিম মহিলা বিবাহ অধিকার সংরক্ষণ বিধেয়ক, ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস প্রোটেকশন অব রাইটস বিল, ক্রেতা সুরক্ষা বিল, প্রত্যক্ষ কর—বিবাদ সে বিশ্বাস বিধেয়ক, এই সমস্ত যুগান্তকারী আইন সংসদে পাস করানো সম্ভব হয়েছে।