নয়াদিল্লি, ২৪ জুন (হি.স.): সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল হলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায় সহ বিরোধী জোটের অন্যান্য সাংসদরা।
সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিনই সংবিধান বাঁচানোর দাবি তুলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদদের একাংশ। হাতে সংবিধান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, ডিএমকে-র কানিমোঝিরা।
প্রসঙ্গত, নেট এবং নিট-এ অনিয়ম এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নিয়ে চলতি অধিবেশনে সরব হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে বিরোধী শিবির। প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন নিয়ে মতান্তরের জেরে সংসদে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা জানান ডিএমকে-র দলনেতা টিআর বালু, কংগ্রেসের কে সুরেশ এবং তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সবচেয়ে বেশি বার জিতে আসা সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে ওই দায়িত্ব না দিয়ে কটকের বিজেপি সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাবকে দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের দাবি দেশের সংবিধান রক্ষা করা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়, কিন্তু তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ডাকে না এবং সবকিছু একতরফাভাবে করে।” সৌগত রায় বলেছেন, “আমরা সংবিধানকে ধ্বংস করার জন্য বিরোধিতা করছি।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “সংবিধানের বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাই আমরা প্রতিবাদ করছি। নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। যেভাবে প্রো-টেম স্পিকার নিয়োগ করা হয়েছে তা সাংবিধানিক বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আগের নজিরগুলির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”