BRAKING NEWS

চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিয়ে চলেছে পানিসাগরের মুরগী খামার, মুখ্যমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ বিকাশ যোজনার মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছেন সাধারনেরাও

নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর, ১৬ জুন: উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমায় অবস্থিত জেলা মুরগি খামার প্রতিনিয়ত চাহিদা অনুযায়ী । এখান থেকে উৎপাদিত হয় ডিম, মুরগির বাচ্চা এবং মাংস।
এখানে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়ক ডক্টর সঞ্জয় কুমার দাস, ২০২১ সাল থেকে তিনি এই দপ্তরে চাকরি করছেন, তাছাড়া রয়েছে আরো আটজন কর্মী। জেলা মুরগি খামারটি ছয় একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত।
এখানে চারটি মুরগির খামার রয়েছে, দুই হাজার মোরগ এবং মুরগি রয়েছে এই খামারে, প্রত্যেকদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মুরগির ডিম এখান থেকে সংগ্রহ করা হয়। বহিঃরাজ্য থেকে উন্নতমানের পিওর বিট আনা হয় এবং তা থেকে ২১ দিন পর মুরগির বাচ্চা হয়।

২০২২ এবং ২৩ অর্থবছরে মুরগির বাচ্চা প্রোডাকশন হয়েছিল ৪১ হাজার এবং ২০২৩ এবং ২৪ অর্থবছরে মুরগির বাচ্চা প্রোডাকশন হয়েছিল ৫১ হাজার। সরকারি বিভিন্ন স্তরের (স্কিমের) চাহিদা মেটানোর পর জনসাধারণের আগ্রহ বা চাহিদা থাকলে এখান থেকে মুরগির বাচ্চা সরকারি ধার্য করা ৩০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।

২০২২- ২৩ অর্থবছরে এক লক্ষ ২৭ হাজার ডিম উৎপাদন হয়েছে এবং ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে মুরগির খামার থেকে এক লক্ষ ডিম উৎপাদন হয়েছে।  ডিম, মুরগির বাচ্চা এবং মাংস থেকে সরকারি অর্থ ভান্ডারে জমা (রেভিনিউ) পড়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি অর্থ ভান্ডারে ১৭ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।

এখানকার উৎপাদিত মুরগির বাচ্চা ও ডিম উত্তর জেলা, ঊনকোটি জেলা, ধলাই জেলায় গিয়ে থাকে | উৎপাদন বেশি হলে চাহিদা মেটাতে খোয়াই জেলা ও অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়। ২০২৪ অর্থবছরে আরো উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সুপার ডঃ সঞ্জয় কুমার দাস।  ২০২২- ২৩ এবং ২৪ অর্থবছরে মুখ্যমন্ত্রী পরিবার যোজনা প্রকল্পে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দেওয়া হয় ডিম ও মুরগির বাচ্চা। এখন এই প্রকল্পটির নাম অল্প পরিবর্তন হয়ে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ বিকাশ যোজনা।

ডক্টর সঞ্জয় কুমার দাস জানান মুরগি খামারের মূল উদ্দেশ্য মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা পাশাপাশি ডিম উৎপাদন করা ও মাংস উৎপাদন করা | বর্তমানে মজুদের পরিমাণ দুই হাজারের মতো মুরগি রয়েছে পুরুষ ও মহিলা, প্রত্যেকদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ডিম খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়, আগামী সোমবার বাচ্চা তৈরীর কাজ শুরু করা হবে।

জুলাই মাস থেকে ২০০০ থেকে ২৫০০ মুরগির বাচ্চা প্রথম সেট বের হবে, এখান থেকে যে বাচ্চাগুলি উৎপাদন হবে তা যে সকল সরকারি স্কিম রয়েছে সেখানে বিতরণ করা হবে। | গতবছর মুখ্যমন্ত্রী পরিবার যোজনার প্রকল্পের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়, পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের চাহিদা মিটিয়ে যে সকল আগ্রহী কৃষক রয়েছেন তাদেরকে সরকারি ধার্য করা ৩০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয় | এবছর মুখ্যমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ বিকাশ যোজনা প্রকল্পে মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হবে তাছাড়া আগ্রহী কৃষক বা এস এইচ জি গ্রুপ কিনে নিতে পারবে।

উত্তর ত্রিপুরা জেলার পাশাপাশি জেলা ও ধোলাই জেলার বর্ডার হাউসে মুরগির বাচ্চাগুলো দেওয়া হয়, বর্তমানে nsc থেকে একটা প্রজেক্ট চলছে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রজেক্টটি হস্তান্তর করা হবে এবং এই প্রজেক্টটা হয়ে গেলে ডিম এবং মুরগির বাচ্চা উৎপন্ন আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।

গতবছর রেভিনিউর সাথে তুলনা করলে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিল এবার সেটা বৃদ্ধি হয়ে আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকার হয়েছে। গত বছর ৪১ হাজার বাচ্চা উৎপাদন হয়েছিল এবার অর্থাৎ ২০২৪ অর্থবছরে ৫০০০০ হয়েছে। ডিম উৎপাদন হয়েছিল গত বছর ১ লক্ষ ২৭ হাজার এবছর  হয়েছে এক লক্ষ সুতরাং রেভিনিউ এবং প্রোডাকশন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়ক সঞ্জয় কুমার দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *