BRAKING NEWS

রেমালের প্রভাবে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ঊনকোটি জেলায়, জলমগ্ন বিভিন্ন গোটা কৈলাসহর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৮ মে: 
দুই দিনের অনবরত বৃষ্টিতে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরের চতুর্দিক জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। কৈলাসহরের মনু নদীর জল প্রায় বিপদ সীমার কাছাকাছি। দুই দিনের লাগাতার বৃষ্টির ফলে কৈলাসহর পুর পরিসদের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। কৈলাসহরের মূল শহরের নেতাজি কর্নার, অটল মার্কেট, থানা রোড, পি.ডাব্লিউ.ডি রোড. চিলড্রেন গার্ডেন স্কুল রোড, কৃষি অফিস, বৌলাপাশা, কাঁচের ঘাট, কাজিরগাঁও প্রভৃতি এলাকা সহ কৈলাসহর আদালত চত্বর ও জলমগ্ন মঙ্গলবার সকাল থেকেই।

মূলত ২৭ মে সোমবার সকাল থেকে দিন রাত এবং মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি পড়ছে। লাগাতার এই বৃষ্টির ফলে শহরের আশপাশ জলমগ্ন হওয়ার ফলে অনেকের বাড়ি ঘরেও জল ঢুকে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন থাকার ফলে শহরবাসীরা জলের মধ্যেই চলাফেরা করছেন। মনু নদীর জল সোমবার গভীর রাত থেকেই বেড়ে যাওয়ার ফলে মঙ্গলবার দুপুরে মনু নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি এসে স্তম্ভিত হয়ে যায়।

এব্যাপারে কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার জানান যে, গতকাল সাতাশ মে সোমবার কৈলাসহরের মোট চুরাশি মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং গতকাল সোমবার রাত আটটা থেকে আটাশ মে মংগলবার সকাল আটটা অব্দি একশো বিরাশি মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত এই বৃষ্টির ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকার ড্রেন গুলো জলে ভর্তি হয়ে গিয়ে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার জানান।

ইতিমধ্যেই মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৈলাসহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইক যোগে প্রচার করা হয়েছে যে, মনু নদীর আশপাশ এলাকায় যেসব বাড়ি ঘর রয়েছে কিংবা শহর এলাকায় যেসব বাড়িতে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে জল ঢুকে পড়েছে সেইসব বাড়ির লোকেরা নিকটবর্তী শেল্টার হাউসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেল্টার হাউসে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার।

কৈলাসহরের শ্রীরামপুর এলাকায় ড্রেনের কাজ শুরু করে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেবার ফলে সময় মতো ড্রেন সম্পুর্ন না হওয়াতে অতিরিক্ত বৃষ্টির জলে কৃএিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া কৈলাসহরের সমরুরমুখ এলাকার সাইফুন দিয়ে গরু পাচার হয়ে যাবার ভয়ে হঠাৎ করে কাটাতার লাগিয়ে দেয় বি.এস.এফ জওয়ানরা। যার ফলে জলে ভেসে গিয়ে বড় বড় গাছের লক কাটাতারে আটকে থাকায় সমরুরমুখ গ্রামে জল জমে যায়। এই জল জমে যাওয়ার কারনে সমরুরমুখ এলাকায় কয়েক শো হেক্টর জমিতে সব্জি ফসল নষ্ট হয়ে যায়।

শ্রীরামপুর এলাকা এবং সমরুরমুখ এলাকার খবর শোনে এলাকা পরিদর্শনে যান ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী বিমল কর, হিমাংশু দাস, দুলাল দাস সহ অন্যান্যরা। সমরুরমুখ এলাকায় জল জমে যাওয়ার কারনে যেসব বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে সেইসব বাড়ির লোকেদের পাশ্ববর্তী শেল্টার হাউসে আশ্রয় করে দেন জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্যরা। তাছাড়া ২০১৮সালের এপ্রিল মাসে কৈলাসহরের এয়ারপোর্টের কাছে যে জায়গায় বাঁধ ভেংগেছিলো সেই জায়গাটাও পরিদর্শন করেন জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *