আগরতলা, ২৬ মে: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রবিবার সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও তীব্রতর হয়ে গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আরও তীব্রতর হতে পারে এবং মংলা (বাংলাদেশ) এর দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগর দ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর রবিবার মধ্যরাতে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১৩৫ কিমি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি পরিলক্ষিত হবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই ঐসব এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার অর্থাৎ ২৬ মে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি অর্থাৎ মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরের বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সাথে বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর।
২৭ ও ২৮ মে আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর ও ত্রিপুরায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ২৭ ও ২৮ মে আসাম, মেঘালয়ে, ২৮ মে অরুণাচল প্রদেশে এবং ২৭ মে মিজোরাম ও ত্রিপুরায় অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে ২৬ ও ২৭ মে ৫০-৬০ বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বেশ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। ২৬ এবং ২৭ মে বাংলাদেশ সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। ২৬ মে দুপুর থেকে ২৭ মে দুপুর পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ২৬ মে উত্তর উপকূলীয় ওড়িশার বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রভাবিত এলাকাগুলিতে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন তৎপর হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে। পশ্চিমবঙ্গ সহ ত্রিপুরায় বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।