পাটনা, ২৫ মে (হি. স.) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শনিবার বিহারের পাটলিপুত্র, কারাকাট এবং বক্সারে আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, কংগ্রেস এবং আরজেডি-এর কু-শাসন ও তোষণেক কঠোর সমালোচনা করেন এবং জনগণকে আরজেডি-এর “জঙ্গলরাজ” থেকে বাঁচতে আহ্বান জানান। উক্ত কর্মসূচিতে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিহার বিজেপি রাজ্য সভাপতি শ্রী সম্রাট চৌধুরী, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উজিয়ারপুরের প্রার্থী শ্রী নিত্যানন্দ রাই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বেগুসরাইয়ের প্রার্থী শ্রী গিরিরাজ সিং, কারাকাত প্রার্থী এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা সভাপতি শ্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা, সাসারামের প্রার্থী শ্রী শিবেশ রাম, আরা প্রার্থী শ্রী আর কে সিং, এলজেপি (আর) সভাপতি এবং হাজিপুর প্রার্থীর সভাপতি শ্রী চিরাগ পাসওয়ান, পাটলিপুত্রের প্রার্থী শ্রী রাম কৃপাল যাদব এবং বক্সারের প্রার্থী শ্রী মিথলেশ তিওয়ারি এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেছেন যে ৪ জুনের নির্বাচনী ফলাফলের এক্সিট পোল এসেছে, আর ইন্ডি জোটের নেতারা ইভিএমকে গালিগালজ দিতে শুরু করেছে, তার মানে এনডিএ-র সাফল্যের এক্সিট পোল এসেছে। আগামী ৪ জুন বিহার ও দেশে তৈরি হবে নতুন রেকর্ড। আজ ভারতের প্রতিটি কোণে “ফের একবার মোদী সরকার” স্লোগানে অনুরণিত হচ্ছে। ফলাফল এলেই আরজেডি এবং কংগ্রেস একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করবে এবং কংগ্রেসের শাহীপরিবার বিদেশে ছুটি কাটাতে যাবে, পরাজয়ের জন্য মল্লিকার্জন খাড়গেকে দায়ী করবে। কংগ্রেসের মধ্যে বিভ্রান্তি, হতাশা ও নিরাশা রয়েছে। কংগ্রেসের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা নেই এবং তারা কেবল নেতিবাচকতা নিয়েই জীবনযাপন করছে।
যশস্বী শ্রী মোদীজি বলেছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে, একদিকে মোদী আছেন যিনি জনসাধারণের জন্য ২৪ ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম করেন, এবং অন্যদিকে একটি ইন্ডি জোট রয়েছে যা ২৪ ঘন্টা জনগণের কাছে মিথ্যা বলে। একদিকে, মোদী আছেন যিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করতে, দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ২৪ ঘন্টা নিযুক্ত রয়েছেন। অন্যদিকে ইন্ডি জোট আছে, যাদের কোনো কাজ নেই, কারণ দেশবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের অর্ধেক জেলে আর অর্ধেক বাইরে। ইন্ডি জোট দিনরাত ব্যস্ত মোদীকে গালি দিতে এবং ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে। এলইডি বাল্বের যুগে মানুষ বিহারে লণ্ঠন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই লণ্ঠন বিহারের একটি মাত্র ঘরে আলো প্রদান করে। এই লন্ঠন বিহারে অন্ধকার ছড়িয়ে দিয়েছে। ইন্ডি জোটের মূলমন্ত্র হল “আমাদের কাজ হয়ে যাক, জনগণ নরকে যাক”। ইন্ডি জোটের বেলুনের হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে এবং ষষ্ঠ দফার ভোটের পর এটা স্পষ্ট যে শেহজাদার শাটার নামতে চলেছে। বিহারের শেহজাদা জামিন ও আমানতের কাজ দেখবেন এবং কংগ্রেসের শেহজাদাও ছুটির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। উত্তর প্রদেশের শেহজাদা তো ট্রমায়, এটা বারবার সাইকেল পাংচারের ধাক্কাই, এটা কংগ্রেস শেহজাদার সঙ্গে থাকার ধাক্কা।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেছেন, এই নির্বাচন শুধুমাত্র সাংসদদের নির্বাচিত করার জন্য নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার জন্য। জনগণের একটি ভোট এতই মজবুত যে পাটলিপুত্রে বসেই দিল্লির সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। ভারতের এমন একজন প্রধানমন্ত্রী দরকার যিনি এই শক্তিশালী দেশের শক্তিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারেন। পাঁচ বছরে পাঁচ প্রধানমন্ত্রী করার পরিকল্পনা ইন্ডি জোটের, এমন হলে কী হবে দেশের? এর দাবিদার হলেন গান্ধী পরিবারের ছেলে, সপা পরিবারের ছেলে, ন্যাশনাল কনফারেন্স পরিবারের ছেলে, এনসিপি পরিবারের মেয়ে, টিএমসি পরিবারের ভাইপো, আপ পার্টির বসের স্ত্রী, নকল শিবসেনা পরিবারের ছেলে এবং আরজেডি পরিবারের ছেলে অথবা মেয়ে। এই সব মানুষ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলতে চায়। ইন্ডি জোটের নেতারা চরম সাম্প্রদায়িক, চরম বর্ণবাদী এবং চরম পরিবারবাদী, তারা প্রথমে তাদের পরিবারের কথা ভাবে এবং অন্য সবাইকে পিছনে রাখে। এই বিরোধী জোট কি বিহার বা দেশের কোনো উপকার করতে পারবে?
যশস্বী শ্রী মোদীজি বলেছেন, বিহারের ভূমি সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে সমগ্র দেশকে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। বিহার তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের অধিকারের জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছে। মাননীয় শ্রী মোদী বলেছেন, আরজেডি, কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের অন্যান্য দলগুলি একসাথে এসসি, এসটি এবং ওবিসি-র সাথে একটি বড় বিশ্বাসঘাতকতা করছে। ভারতের সংবিধান ধর্ম ভিত্তিক সংরক্ষণের বিরুদ্ধে কিন্তু আরজেডি এবং কংগ্রেস এসসি, এসটি এবং ওবিসি কোটা বাতিল করে এবং তাদের জিহাদি ভোটব্যাংকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগ করে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের ভোটব্যাঙ্ক দিতে চায়। এবং এখন তাদের দলিত সংরক্ষণ বিরোধী কর্মকান্ড জনগণের সামনে আসছে। আরজেডি-কংগ্রেস মিলে যাদব, কুর্মি, কুশওয়াহা, তেলি, পাসওয়ান, নিষাদ এবং মুসাহার পরিবারের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়েছে। এই লুটেরারা জনগণকে অন্ধকারে রেখে তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দলিত কোটা কমিয়ে তাদের ভোটব্যাঙ্কে রিজার্ভেশন দিয়েছে যা ভোট জিহাদ করছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি শিশুরা ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ থেকে অনেক সাহায্য পেত, কিন্তু আরজেডি-কংগ্রেস দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং উপজাতিদের শিশুদের কাছ থেকে এই অধিকারগুলি কেড়ে নিয়ে বিশেষ শ্রেণিতে দিয়েছে। নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে কংগ্রেস রাতারাতি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে এবং তাদের মধ্যে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দেয়। ইন্ডি জোট লক্ষ লক্ষ এসসি, এসটি এবং ওবিসি যুবকদের শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেছেন, কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের রাজনীতি “ভয় ও ভয় পাওয়ায়” মন্ত্রের উপর ভিত্তি করে চলছে কিন্তু মোদী তাদের ভয়ের বেলুন ফাটিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস দেশকে ভয় দেখাত যদি অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হয় এবং ধারা ৩৭০ সরানো হয় তাহলে রক্তের নদী বয়ে যাবে কিন্তু এখন রামলালা তার মন্দিরে বিরাজমান এবং ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু দেশে বা কোথাও কোনো হিংসা হয়নি। অন্য দেশে আগুন লেগেছে। এখন কাপুরুষ কংগ্রেস এবং আরজেডি নেতারা বলছেন যে পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক বোমা রয়েছে, তাই ভারতের ভয় পাওয়া উচিত, এই কাপুরুষদের কারণেই পাকিস্তান প্রতিদিন ভারতে আক্রমণ করত, কিন্তু মোদী সেনাদের ঘরে ঢুকে হত্যার নির্দেশ দেন, তাই এখন পাকিস্তান কিছু করার আগে ১০০ বার চিন্তা করে। এখন মোদী দেশ থেকে নকশালদেরও নির্মূল করেছেন। ইন্ডি জোটের নেতারা বড় দুর্নীতিগ্রস্তদের তদন্ত করা হলে মোদীর চেয়ার কাঁপানোর হুমকি দিয়েছিলেন, কিন্তু মোদী ভয় পান না এবং প্রত্যেক দুর্নীতিবাজকে যারা চুরি করে এবং গরীবদের লুট করে তাদের জেলে যেতে হবে। যারা বিহারের গরীবদের লুট করেছে এবং চাকরির বিনিময়ে জমি নিয়েছে তাদের জেলে যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। যারা বিহারে লুটপাট করেছে তাদের রেহাই দেবে না এনডিএ সরকার, এটাই মোদীর গ্যারান্টি।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেন যে ইন্ডি জোটের নেতারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। এই নেতারা বিহার এবং বিহারের জনগণের অপমানের বিরুদ্ধেও কিছু বলতে পারছেন না। পঞ্জাবের একজন কংগ্রেস নেতা বিহারী শ্রমিকদের চরম অপমান করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের শাহী পরিবার এই বিষয়ে নীরব। বিহারীদের এই অপমানের জন্য এই শাহী পরিবারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিহারীদের অপমান নিয়ে কংগ্রেসকে একটা কথাও বলার সাহস আরজেডির নেই। ইন্ডি জোটের আরেকটি দল ডিএমকে-র নেতা বিহারীদের অশ্লীল কথা বলেছেন, তেলেঙ্গানার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বিহারীদের খারাপ বলেছেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তো প্রতিদিন বিহারীদের কুকথা বলছেন। কিন্তু কংগ্রেস ও আরজেডি নেতাদের এদের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলারও সাহস নেই। মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেন যে আরজেডি এবং কংগ্রেস নেতারা বিহারীদের আত্মসম্মান, বিহারের গৌরব এবং বিহারের যুবকদের নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই। তারা কেবল নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তিত। তাদের কাছে বিহারীদের আত্মসম্মানের কোন মূল্য নেই।
মাননীয় শ্রী মোদী বলেন যে ইন্ডি জোটের আরেকটি ষড়যন্ত্র কলকাতা হাইকোর্ট উন্মোচিত করেছে। ইন্ডি জোট পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি করেছে এবং সরকারি চাকরিতে ওবিসি এবং অনগ্রসর শ্রেণীর সুবিধা এই ৭৭টি মুসলিম সম্প্রদায়কে দিয়েছে। ওবিসি এবং অনগ্রসর শ্রেণীর সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে, ইন্ডি জোট নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে সুবিধা দিয়েছিল। কংগ্রেস কর্ণাটকে রাতারাতি সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করে এই একই কাজ করেছিল। ইন্ডি জোট এই সত্যটি অস্বীকার করতে পারবে না যে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে সমগ্র দেশে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিতে চায়। কিন্তু মোদী যতদিন বেঁচে থাকবেন, কেউ এসসি, এসটি, ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। মোদীর কাছে সংবিধান এবং বাবা সাহেবের ভাবনা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডি জোট তাদের ভোটব্যাঙ্ক এর দাসত্ব করতে পারে, কিন্তু মোদি এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। এক মাস পেরিয়ে গেছে, তাও কংগ্রেস লিখে দিতে পারেনি যে ধর্মের ভিত্তিতে একটি বিশেষ শ্রেণিকে তারা সংরক্ষণ দেবে না । আমার চ্যালেঞ্জ এখনও কংগ্রেস গ্রহণ করতে পারেনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিরোধী জোটের মুখোশ খুলে যাবে, ঠিক যেমনটি ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হয়েছিল। সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে বিকশিত ভারতের কথা বলছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বিকশিত ভারতের সংকল্প নিয়ে মজা করছে। ভারতকে সারা বিশ্ব সম্মান জানাচ্ছে, কিন্তু বিরোধী দলের লোকেরা বিদেশে গিয়ে ভারতকে হেয়ো করছে। মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেন যে বিরোধী দলগুলির মধ্যে দুর্নীতি এতটাই গভীর যে তারা দেশকে নোটের বান্ডিল হিসাবে দেখে, তারা দেশ চালাবেন নাকি দেশকে লুট করবেন।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেন যে বিহারের প্রথমবারের ভোটারদের জঙ্গলরাজ পার্ট ২ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা আরজেডি-র জঙ্গলরাজ দেখেনি। আরজেডি শাসনকালে সন্ধ্যার পর বাইরে যাওয়া অসুবিধার ছিল। অপহরণ, ডাকাতি ও খুন বিহারের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ সরকার বিহারকে জঙ্গলরাজ থেকে বের করে এনেছে। এই সমস্ত ডাকাতরা গোপনে সুযোগ খুঁজছে এবং ইন্ডি জোট একটু শক্তিশালী হলেই তাদের সাহস বেড়ে যাবে এবং তারা তরুণদের ভবিষ্যত ধ্বংস করবে।
মাননীয় শ্রী মোদীজি বলেন, গরিবের এই ছেলে অধিকার কেড়ে নেওয়ার যন্ত্রণা জানে। তাই মোদী তার গরিবদের অধিকার দিয়েছেন এবং সবচেয়ে বড় সুবিধা হয়েছে দেশের মহিলাদের, সেই কারণেই ভারতের প্রতিটি কোণের হাজার হাজার মা-বোনেরা সব কাজ ফেলে বিজেপিকে আশীর্বাদ দিতে আসেন। কংগ্রেসের শাসনকালে, গুদামে খাদ্যশস্য পচতো, নষ্ট হতো, কিন্তু কংগ্রেস দরিদ্রদের রেশন দেয়নি। মোদী প্রতিটি দরিদ্রের জন্য শস্য ভান্ডারের দরজা খুলে দিয়েছেন। আজও গরিবরা বিনামূল্যে রেশন পায় এবং এটা মোদীর গ্যারান্টি যে এই বিনামূল্যের রেশন আগামী পাঁচ বছরও পাওয়া যাবে। প্রতিটি দরিদ্র শিশুকে খাবার দিতে মোদী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি দেশে দরিদ্রদের পাকা বাড়ি দিয়েছে এবং যারা বাড়ি পায়নি তারা মোদীর তৃতীয় মেয়াদে বাড়ি পাবে। কারণ বিজেপি আগামী পাঁচ বছরে ৩ কোটি নতুন বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোদী সরকার দেশে শস্য ভান্ডারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প শুরু করছে। বিজেপি তিন কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদির করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেক বয়স্কদের অন্তর্ভুক্ত করবে। দলিত সন্তান শ্রী রামনাথ কোবিন্দ এবং আদিবাসী কন্যা শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি করেছে। বিজেপি অনগ্রসর শ্রেণী কমিশনকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস তিন দশক ধরে অনগ্রসর শ্রেণীর এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। বিজেপি সৈনিক স্কুল, নবোদয় বিদ্যালয় এবং চিকিৎসা শিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে এখন পর্যন্ত বিজেপি শৌচালয়, জল সংযোগ এবং উজ্জ্বলা সিলিন্ডারের মতো সুবিধা দিয়েছে। এবার মোদী জনগণের বিদ্যুৎ বিল শূন্যে নামাতে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় বাড়িতে সৌর প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরকারের কাছে বিক্রি করেও আয় করতে পারবে। এতদিন জনসাধারণ বিদ্যুৎ বিল দিত কিন্তু এখন তারা বিদ্যুত থেকে আয় করবে। এই প্রকল্পের অধীনে, সোলার প্যানেল বসানোর জন্য প্রতিটি পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আজ বিহার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের অধীনে উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে। উত্তর ও দক্ষিণ বিহার দিঘা-সোনপুর সেতু দ্বারা সংযুক্ত। আগামী পাঁচ বছর ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের স্বর্ণময় পাঁচ বছর হতে চলেছে। আগামী পাঁচ বছরে বিহারে নতুন শিল্প গড়ে উঠতে চলেছে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। মাননীয় শ্রী মোদীজি স্থানীয় বিজেপি এবং এনডিএ প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করে দেশে আবারও মোদী সরকার গঠনের আবেদন করেছেন।