নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনামুড়া, ২২ মে: রিল বানাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে স্বামীর ঘর থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলো এক গৃহবধ। ঘটনা সোনামুড়া মহকুমার যাত্রাপুর থানাধীন বড়খলা এলাকায়।
হন্যে হয়ে এদিক সেদিক ঘুরেও স্ত্রীর কোন হদিশ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে স্বামী। কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে সামাজিক মাধ্যমের প্রতি একাংশ মানুষের আকর্ষণ ও নেশা । ফুটফুটে ২ কোমলমতি সন্তান , স্বামীর সুখের সংসার সবই যেন ফিকে হয়ে গেলো সময় আর আধুনিকতার কাছে। এসব প্রশ্নেরই এখন উত্তর খুঁজছে সোনামুড়া মহকুমার যাত্রাপুর থানাধীন বড়খলা এলাকার সাধারণ মানুষ।
এই এলাকারই পেশায় রাবার বাগান মালিক মানিক দাস ভালোবেসে বিয়ে করেছিল একই বিধানসভা কেন্দ্রের ইন্দুরিয়া এলাকার পিঙ্কি দেবনাথকে ৯ বছর আগে। সুখে সাচ্ছন্দেই চলছিল সংসার। ৪ ও ৬ বছরের ২টি মেয়ে সন্তান রয়েছে মানিক ও পিঙ্কির।
গ্রামীণ এলাকা , তাই নানান জেনে নানা কথা বলাবলি করতে শুরু করলে স্ত্রীর রিল বানাতে আকৃষ্ট হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে পিঙ্কির ১৪ হাজার ফলওয়াস হওয়া স্বত্তেও স্ত্রীকে রিলিস বানাতে বারণ করে স্বামী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ তারিখ মেয়েদের স্কুলে দিয়ে আসার নাম করে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মানিকের স্ত্রী পিঙ্কি। পরে একটি অটো করে নিজের সন্তানদের স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পিঙ্কি।
মানিকের বাবা – মা সোনামুড়া মহকুমারই নলছড়ে থাকেন তাদের পৃথক একটি বাড়িতে। স্ত্রীর স্বাছন্দের জন্য পরিবার নিয়ে বড়খলার বাড়িতে থাকেন মানিক। চাওয়ার আগেই স্ত্রীর সমস্ত আবদার , সমস্ত বায়না পূরণ করে দিতো মানিক। স্ত্রীর প্রতি কোন সন্দেহ ,অন্য কারুর সঙ্গে কোন সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে প্রতি বিন্দুমাত্র সংশয় নেই মানিকের। শুধু কাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যম রিলিস ইত্যাদি।
যাত্রাপুর থানার দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীর প্রতি অভিযোগ জানিয়ে আসলেও পিঙ্কিকে স্ব-সম্মানে ফিরে পেতে চায় মানিক। অন্তত ২ সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে ফিরে আসুক পিঙ্কি, চাইছে মানিক।