BRAKING NEWS

মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী কাঞ্চনপুরের বিপ্লব দাস, স্বনির্ভর হতে মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহবান তার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ১৩ মে: মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী কাঞ্চনপুর মহকুমা অন্তর্গত সুভাষনগর গ্রামের যুবক বিপ্লব দাস, সে অন্যান্য বেকার যুবকদের আহ্বান জানায় মৎস্য চাষ করার জন্য।

উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমা অন্তর্গত সুভাষনগর গ্রামে মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী বিপ্লব দাস। বিপ্লবের পাঁচ কানি জায়গা রয়েছে এবং একটি ছোট পুকুর ছিল, সে কৃষি কাজের  পাশাপাশি ছোট্ট পুকুরে মাছ চাষ করত, কিন্তু তাতে সে সেরকম সফল হয়নি। কাঞ্চনপুর মৎস্য দপ্তরে  বিপ্লব যোগাযোগ করে সেখানে কিছুদিন মৎস্য উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং মৎস্য দপ্তর থেকে একটি স্কিমের মাধ্যমে সে এক কানি জায়গার মধ্যে একটি পুকুর খনন করে ২০২১- ২২ অর্থবছরে। বছরের শেষ দিকে সে ঐ পুকুর থেকে ৮ কুইন্টাল মাছ বিক্রি করতে সক্ষম হয়, এর পাশাপাশি সে আরও তিনটি পুকুরে মৎস্যচাষ শুরু করে। সে জানিয়েছে মৎস্য উৎপাদন করে সে সাবলম্বী হয়েছে বর্তমানে তার মা বাবা ভাই বোনদের নিয়ে আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল জীবনযাপন করছে।
বিপ্লব দাস বলে যারা বেকার যুবক রয়েছে যদি বিজ্ঞানভিত্তিক মাছের চাষ করে তাহলে ভালো টাকা লাভ হবে তাই মাছের চাষ করতে সে সকলকে উৎসাহিত করেছে।

উত্তর ত্রিপুরা জেলা উপ-অধিকর্তা মৎস্য দপ্তর বিজয় রায় জানান, মৎস্যচাষীদের বর্তমান সময়ে কি কি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে তার  বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বিজয় রায় জানান,  এপ্রিল এবং মে মাস হলো গুরুত্বপূর্ণ সময় মাছ চাষীদের জন্য। চারা পোনা উৎপাদন করার জন্য এখনই নার্সারি পুকুর তৈরি করতে হবে। যে সকল মৎস্যচাষিরা এখনো তাদের নার্সারি পুকুর তৈরি করেনি তিনি অনুরোধ করেন অবিলম্বে তা করে ফেলতে। নার্সারি পুকুরের জল শুকিয়ে চুন দিতে হবে, ভালো মানের রুই, মৃগেল, কাতলা মাছের রেনু মজুদ করতে হবে ভাল মানের মাছ ৭ সেন্টিমিটার এক কানি পুকুরে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মজুদ করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে নিয়মিতভাবে যেন মাছের খাবার হিসেবে খৈল,  চালের গুড়ো, এমওসি বা বাজারে এখন রেডিমেড প্রোটিন ফিড বা পেলেট ফিড পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। তাহলে মাছের গ্রোথ ভালো হবে তাছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর মাছ ধরতে হবে এবং সেগুলো থেকে বড় মাছগুলি বিক্রি করে দিতে হবে এবং সমপরিমাণ মাছের পোনা আবার ছাড়তে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *