– বাতিল গুয়াহাটি-শিলচর-গুয়াহাটি এবং শিলচর-নাহরলগুন-শিলচর
– সময়সূচি বদল আগরতলা-আনন্দবিহার রাজধানী এবং শিলচর-নিউদিল্লি পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের
হাফলং (অসম), ১২ মে (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের জাটিঙ্গা-লামপুরের ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার জেনারেল ম্যানেজার সুনীল কুমার ঝা।
আজ রবিবার মালিগাঁও থেকে বিশেষ ট্রেনে জাটিঙ্গা-লামপুর ধস-বিধ্বস্ত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে রেল লাইনে উদ্ভূত সমস্যা খতিয়ে দেখেন সুনীল ঝা। প্রতিদিনই রেলওয়ের কোনও না-কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জাটিঙ্গা-লামপুরে এসে সব কিছু দেখে যাচ্ছেন। দিবারাত্র এক করে রেল লাইন মেরামতের কাজ চালিয়ে গেলেও গত ১৫ দিন থেকে রেলপথটি পুরোপুরি স্বাভাবিক করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জাটিঙ্গা-লামপুরের ধস-বিধ্বস্ত এলাকা সিংকিং এলাকা তা আগে থেকেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জানা ছিল। অথচ বর্ষার আগে ওই জায়গাটি মেরামত করার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি রেল কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ রেলের অন্দর মহল থেকেই উঠছে।
গত ১৫ দিনে জাটিঙ্গা-লামপুর অংশে রেলপথ মেরামত খাতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনে রেল চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করে তুলতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করে রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতির নামে প্রতিদিনই দূরপাল্লার ট্রেনগুলির সময় পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। শুধু দিনের বেলা ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি লামডিং-বদরপুরের মধ্যে নিউ হাফলং-বদরপুর ছাড়া আর কোনও স্টেশনে স্টপেজ না থাকায় যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ শুধু দিনের বেলা ট্রেন চালাচ্ছে। তা-হলে কেন প্রতিদিন পাহাড় লাইন দিয়ে দিনের বেলা পার হয়ে যাওয়া শিলচর-গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে, এই প্রশ্ন ডিআরএম প্রেমরঞ্জনকে করা হলে তিনি তার কোনও সুদুত্তর দিতে পারেননি।
আসলে পাহাড় লাইন সব সময় একাংশ ঠিকাদার আর রেলের শীর্ষ কর্তার কাছে কামধেনু হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা জাটিঙ্গা-লামপুর ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন আর এঁদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কার্যত রেল বিভাগই পাহাড় লাইনে এই সমস্যা জিইয়ে রেখেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি সময়সূচি ছাড়া চলাচল করায় ডিমা হাসাও, বরাক উপত্যকা সহ মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার রেল যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ১৩ মে ১৫৬১৬ গুয়াহাটি-শিলচর ও ১৫৬১৬ শিলচর-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে। তাছাড়া ১৩ মে ০৫৬৩৮ শিলচর-নাহরলগুন ও ১৪ মে নাহরলগুন-শিলচর বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা বাতিল করার পাশাপাশি ২০৫০১ আগরতলা-আনন্দবিহার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস ১৩ মে বিকাল ৩-টা ১০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ১১টা ১০ মিনিটে আগরতলা থেকে রওয়ানা দেবে। ১৪০৩৭ শিলচর নিউদিল্লি পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস ১৪ মে সন্ধ্যা ৬-টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে শিলচর থেকে ছাড়বে।