বিধাননগর, ৫ মে (হি.স.): ঘরের মধ্যে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য নিউটাউন এলাকায়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। এই গরমে ঘরের পাখার তার খুলে রাখার অভিযোগ। গণরোষের কবলে দুই বোন। দুই বোনকে এলাকাবাসীর মারধর। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্তে নিউটাউন থানার পুলিশ।
এলাকাবাসীর দাবি, নিউটাউন থানা এলাকার গোবিন্দ নগরের দ্বিতীয় লেন-এর বাসিন্দা আশিস রায় তার পৈতৃক বাড়িতে একাই থাকতো। সেই বাড়িতে একাধিক ভাড়াও থাকে। দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তারা চলে যায়। কিন্তু মাসের শেষে বাড়ি ভাড়ার টাকা নিতে আসতো বলে অভিযোগ। সেই সময় ভাইয়ের ওপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এক জামাই ওই ভাইকে বেল্ট দিয়ে মারধরও করে। আশিস-এর বিয়ে হয়েছিল, অভিযোগ সেই বউকেও অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর সে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ওই বাড়িতে আশিস একাই থাকতো। দুই বোন তাকে খাবার দেওয়ার জন্য একজনকে বলে রাখে। অভিযোগ, সে শুধু আলু সেদ্ধ ভাত ও ডাল দিয়ে দিনের পর দিন দিয়ে যায়। গতকাল খাবার দিতে এসে ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খুললে যে ব্যক্তি খাবার দিতে আসতো সে খাবার দরজার সামনে রেখে চলে যায় রবিবার ফের ডাকাডাকি করলে দরজা না খুলে সন্দেহ হওয়াতে এলাকার লোকদের খবর দেওয়া হয়। তারা দরজা খুলে দেখে খাটের উপরে তার নিথর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে এবং এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তারা ঘরে ঢুকে দেখতে পায় যে ঘরের মধ্যে সে যে ঘরটিতে থাকতো সেখানে যে পাখা লাগানো ছিল সেই পাখার তার কাটা। এরপরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় নিউটাউন থানায়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে আসে দুই বোন। দুই বোন বাড়িতে আসতেই এলাকাবাসীর রাগের বহিঃপ্রকাশ। দুই বোনকে ধরে মারধর। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতানোর লোভেই এইভাবে খুন করেছে আশিসকে। যদিও, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউন থানার পুলিশ।