BRAKING NEWS

পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি, পড়াশোনার নামে বিদ্যা ব্যবসার অভিযোগ উঠল নর্থইস্ট ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং সায়েন্স নামক বেসরকারি কলেজের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ এপ্রিল:
বেসরকারি কলেজ খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার নাম করে বিদ্যা ব্যবসার গুরুতর অভিযোগ উঠে আসলো এক কলেজ পড়ুয়ার ছাত্রীর সহ তার পরিবারের তরফ থেকে। জানা গেছে রাজধানীর ঊষাবাজার নতুন নগর এলাকার বিশ্বজিৎ দাসের মেয়ে রিম্পি দাস গত বছর নর্থ ইস্ট ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং সাইন্স নামে একটি বেসরকারি কলেজে ১ লক্ষ ফি এবং ৪০ হাজার টাকা ডোনেশনের  বিনিময়ে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার আগে ছাত্রীটিকে বলা হয়েছিল এই কলেজে রাজ্যের অন্যান্য কলেজের তুলনায় লেখাপড়া অনেকটাই ভালো এবং ফি- এর এক লক্ষ  টাকার মধ্য থেকে তার কলেজে যাতায়াত খরচ সহ অন্যান্য খরচ বহন করা হবে এমনকি এই কলেজে নাকি প্রচুর ছাত্র ছাত্রী নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছে।

রিম্পি দাস যখন আমতলী বাইপাস সংলগ্ন এই বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয় তখন দেখতে পায় কলেজে দশ জনেরও কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বাড়া তো দূরের কথা একে একে সবাই এই কলেজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। দু একদিন রিম্পি দাস কলেজে ক্লাস করার পর তারও বোঝার বাকি ছিল না যে এই কলেজে পড়াশোনা করলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়া তো দূরের কথা তার আগামী ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই হবে না কেননা সে জানিয়েছে কলেজের পড়াশোনা অত্যন্ত খারাপ যার ফলে একের পর এক সব ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে গেছে।

পরে নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রিম্পি দাস নিজেও এই কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং পরে রিম্পি দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তার কলেজের সমস্ত অরিজিনাল নথিপত্র সহ ফি- এর টাকা ফেরৎ চায়। কলেজের তরফ থেকে রিম্পি দাসের অরিজিনিয়াল ডকুমেন্ট এবং ফিসের টাকা নিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা শুরু করে। পরে রিম্পি দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দায়ের করে আমতলী থানায়।

পরে পুলিশের চেষ্টায় কলেজ থেকে ছাত্রীটির অরিজিনিয়াল ডকুমেন্ট ফেরত আনা হয় কিন্তু তার ফি- এর এক লক্ষ টাকা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে যাচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ফি- এর  টাকা আমতলী থানার পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে কখনো বলা হচ্ছে ডোনেশনের টাকা দেওয়া হবে না বরং কলেজকে আরো তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। রিম্পি দাস এবং তার পরিবারের দাবি যেহেতু রিম্পি দাস কলেজে মাত্র দুই থেকে তিন দিন পড়াশোনা করে বেরিয়ে গেছে তাই তার পেছনে কোন টাকা খরচ হয়নি তাই ভর্তি হওয়ার সময় কলেজে ফি- এর বাবদ জমা করা এক লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার সকালে রিম্পি দাস সহ তার পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার নামে বিদ্যা ব্যবসা করছে এই বেসরকারি কলেজটি পাশাপাশি কলেজের জমা দেওয়া এক লক্ষ টাকা ফি – ফেরত চাইছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *