BRAKING NEWS

তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করেই কাঠফাটা রোদে গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল: একদিকে প্রখর রোদ সাথে সীমাহীন গরম। যে গরমে মানুষ বিনা কারণে ঘর থেকে বের হতেও চাইছে না। প্রখর রোদ এবং গরম থেকে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখা যায় বারবার সে বিষয়ে সচেতন করছে। সেই সচেতনতাকে উপেক্ষা করেই মানুষকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে এই প্রখর রোদ এবং গরমের মধ্যেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। সেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোদ এবং গরমকে সঙ্গী করে মানুষকে সঠিক বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঠিক এমনই এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হল সেকেরকোট বিদ্যুৎ নিগম অফিসের কর্মীদের। বিদ্যুৎ কর্মীরা প্রখর রোদ এবং গরমকে উপেক্ষা করে বৈদ্যুতিক লাইনে এমনকি মানুষের বাড়িঘরে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন। যেখানে এই প্রখর রোদে মানুষের ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা সেই জায়গায় দাড়িয়ে বিদ্যুৎ কর্মীরা মানুষকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিচ্ছে। রবিবার দুপুরে এই প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে সেকেরকোট বিদ্যুৎ নিগম অফিসের কর্মীরা কাঞ্চনমালা এলাকায় এক বাড়িতে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করতে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেকেরকোট বিদ্যুৎ নিগম অফিসের শ্যামল সেন নামে কর্মী কোন এক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেছিলেন তারপরেও মানুষকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে একহাত নিয়েই এই প্রখর রোদে কাজ করে চলেছেন। শ্যামল সেন জানিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তর তাদেরকে রেখেছে মানুষকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে। তাই তাদের কাছে শীত গরম, রাত দিন, গ্রীষ্ম বর্ষা বলতে কিছুই নেই। তারা সব সময় মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যাকে সমাধান করে থাকেন।

তিনি এদিন বলেন বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরও বুঝতে হবে তাদের সমস্যার কথা। তারা সব সময় মানুষের বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে থাকেন এর মধ্যে কারোর সমস্যা সমাধান হতে কিছুটা সময় লাগে আবার কারোর সমস্যা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান হয়ে যায়। তবে তারা সব সময় চেষ্টা করে থাকেন খুব শীঘ্রই যেন মানুষ বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারে। বিদ্যুৎ কর্মী শ্যামল সেন বুঝাতে চেয়েছেন তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকে না কোন না কোন পাড়ায় তারা বিদ্যুৎ সমস্যার কাজে নিয়োজিত থাকেন তাই বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ও যেন তাদেরকে সমস্যার সমাধানের কিছুটা সময় দেয়। মানুষ যেন কখনো বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে ভুল না বুঝে সেই অনুরোধও রাখেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *