কলকাতা, ১৮ এপ্রিল (হি. স.) : রাজ্যের প্রথম দফা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করল বামেরা। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও, কোন কোন ক্ষেত্রে তা পূরণ করতে পারেনি কেন্দ্র, সেটাই ইস্তেহারের প্রতি ছত্রে উল্লেখিত। সঙ্গে উল্লেখিত রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও।
বামেদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, কীভাবে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি- প্রতি ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর তা কতটা পূরণে সফল। কেন বিজেপি-তৃণমূলকে ভোট নয়, সেটাই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বামেদের ইস্তেহারে। তৃণমূলের ইস্তেহারকে কটাক্ষ করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বললেন, “তৃণমূলের ইস্তেহার রাজনৈতিক ঠাকুমার ঝুলি।”
বামেদের বক্তব্য, সংসদে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছে বিজেপি সরকার। দু’দিনে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোনও আলোচনা ছাড়াই জোর করে বিল পাশ করানো হচ্ছে। এমনকি বাজেটের পাশের ক্ষেত্রেও তাই। বামেদের দাবি, ৭৯ শতাংশ বাজেট আলোচনা ছাড়াই পাশ করানো হচ্ছে।
বামেদেরই দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। এমনকি কমিশনও যে পক্ষপাতদুষ্ট তারও উল্লেখ রয়েছে ইস্তেহার। বামেদের অভিযোগ, টাকার জোরে বিরোধী নির্বাচীত বিরোধীদের সরকারও ভাঙছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, এই একই অভিযোগ প্রথম থেকে তুলেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি এনআইএ-এ অভিযানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনাতেও বসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
কেন্দ্রের ‘এক দেশ এক নির্বাচন’- নিয়েও সরব বামেরা। সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতেই এই প্রক্রিয়া বলে বামেরা দাবি করেছে। ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও কেন বিজেপিকে ভোট নয়, তার উল্লেখ করেছে বিজেপি। বামেদের দাবি, মোদী সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন ১২০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ৫৫। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ১১১। এছাড়াও কৃষিতে সঙ্কটের কথাও উল্লেখ রয়েছে ইস্তেহারে। তাদের দাবি, কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে মোদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায় সরকারের বাজেট ও বরাদ্দ দেখলেই। কারণ তাদের দাবি, মোদী সরকার কৃষি ও কৃষক সম্পর্কিত বাজেটের ক্ষেত্রে ৮১ হাজার কোটি টাকা কেটেছে।