নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ এপ্রিল:
ত্রিপুরায় বিজেপির আগে কোন দল এত কম ভোট পেয়ে শাসন ক্ষমতায় আসেনি। ২০২৩ এর নির্বাচনে সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোট নিজে দিতে পারেনি। না হলে ফলাফলের চেহারাটা অন্যরকম হতো। মঙ্গলবার বর্ডার গোলচক্কর এলাকায় সিপিআইএমের উপ নির্বাচনের প্রার্থী রতন দাস এবং পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এমনটাই বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এদিন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে একই মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে যা করতে পারেনি সেটি করে দেখাবার দ্বিতীয়বার সুযোগ এসেছে। তাই এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর সমর্থনেই ভোট দান করার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান করেছেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দেশের সার্বিক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন পুনরায় এই সরকার দেশের গঠন হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী সরকার বলেন বছরে দু কোটি চাকরি থেকে শুরু করে বেকারদের কর্মসংস্থান, গরিব ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকার সহ যাবতীয় বিষয়ে বিজেপি সরকার শুধু সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা পূরণ আর হয়নি।
এজন্য সবাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন বিজেপি গত ১০ বছরে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার কিছুই পূরণ করতে পারেনি। ১০ বছরের বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেন। ঘরে ঘরে চাকরি তো দূর, মানুষ খাদ্যের অভাবে ভুগছে। দেশের বিভিন্ন সম্পদ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। বিজেপি সরকারকে গরীবের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। তাই ভোট দেওয়ার আগে বার কয়েক ভেবে ভোট দেওয়ার আহবান করেন সুদীপ রায় বর্মন। আগামী ১৯ এপ্রিল ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করার আহ্বান করেন তিনি।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভার আসনের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে রাজ্যে মানুষের কথা বলার অধিকার, বাঁচার অধিকার, গণতন্ত্র সবকিছুই একটা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। বিজেপি বলছে আগে গণতন্ত্র ছিল না, বিজেপি সরকার আসার পর সাধারন মানুষ গনতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে। তিনি বলেন, আগে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট লড়াই হত, নীতির লড়াই হত, কিন্তু বর্তমানে ভয়-ভীতির পরিবেশে সাধারন মানুষকে এই গণতান্ত্রিক উৎসব পালন করতে হচ্ছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নির্বাচনী সভা করতে হচ্ছে। এটাই কি তবে গণতন্ত্র।