আগরতলা, ১ এপ্রিল: গত ৩০ এবং ৩১ মার্চ রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব, বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টির কারণে রাজ্যের ৭টি জেলা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত নজর রাখছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের ফলে রাজ্যে মোট ৮০০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ৬২টি, মারাত্মকভাবে ১৬ ১টি এবং আংশিক ৫৭৭টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছ, বিদ্যুৎ খুঁটি এবং বিদ্যুতের তার পরে ৪২টি এলাকার রাস্তা আটকে যায়। ২০৫ টি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তবে জেলা প্রশাসন এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের তৎপরতায় তা অনেকটাই সাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, উদয়পুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব আরও জানান, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ ভারতের নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধির নির্দেশিকা অনুসারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, ৫০টি পরিবারেরও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ইতিমধ্যেই ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ক্ষতিপূরণ ঝড়ের ক্ষতির মূল্যায়ন করে প্রদান করা হবে। তিনি জানান, তেলিয়ামুড়া ব্লকে একটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এই ত্রাণ শিবিরে ৭টি পরিবারের ২৩ জন সদস্য রয়েছে।
খোয়াই জেলা প্রশাসন থেকে সেইসমস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ প্রদান করা হয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার কাজের জন্য জেলা প্রশাসনকে এস ডি আর এফ থেকে মোট ৫৫.৩৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান, কালবৈশাখী এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির জন্য জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সাথেও প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ আচার্য, স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ দাস।