নতুন মাত্রা লাভ বিশ্ব ঐতিহ্য কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের, নৈসৰ্গিক সৌন্দর্যে বিলীন প্রধানমন্ত্রী

বন দুর্গা’ নামাঙ্কিত মহিলা বন সুরক্ষা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় মোদীর

কাজিরঙা (অসম)৯ মাৰ্চ (হি.স.) : ঘড়ির কাঁটা ভোর ঠিক ৫:৪৫টায়, কহরা রেঞ্জের মিহিমুখে পদার্পণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সঙ্গে সঙ্গে কাজিরঙায় রচনা হলো নতুন ইতিহাস। কেননা, এই প্ৰথম ভারতের কোনও প্ৰধানমন্ত্ৰী এসেছেন বিশ্ব ঐতিহ্য কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান (কাজিরঙা ন্যাশনাল পার্ক)-এ।

ফাগুনের মোহনা, প্ৰভাতী পাখির কলরব, কোকিলের কুহুতান, ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন মাতাল বাতাস ঘেরা কাজিরঙার নৈসৰ্গিক সৌন্দর্যে বিলীন হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম প্ৰভাবশালী ব্যক্তি তথা ভারতের প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। আজ শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় রাজ্য পুলিশের অতিথিশালা থেকে কহরা রেঞ্জের মিহিমুখের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্ৰধানমন্ত্ৰী। পৌঁছেন ঠিক ৫:৪৫টায়। ‘লখিমি’, ‘প্ৰদ্যুম্ন’দের খাইয়েছেন আখ। এর পর চড়েন ‘প্ৰদ্যুম্ন’ নামের সবচেয়ে বলিষ্ঠ ও প্রশিক্ষিত হাতির পিঠে। ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন কাজিরঙার মনোরম দৃশ্য।

প্রস্তুত ছিল আরও ১২টি হাতি। এগুলির পিঠে চড়েন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসপিজির কর্মকর্তারা।

এর পর ওঠেন জিপসিতে। মিহিমুখ থেকে ডাফলাং টাওয়ার পর্যন্ত জিপসি সাফারি করেছেন তিনি। ৮:২০ মিনিট পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় কাজিরঙার কহরা রেঞ্জে পরিভ্রমণ করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। তিনি ‘বিগ ফাইভ’-এর মধ্যে এক শৃঙ্গের গণ্ডার, হাতি, সম্বর হরিণ, মোষের বিচরণ দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। তবে ‘বিগ ফাইভ’-এর মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি প্ৰধানমন্ত্ৰীর। প্ৰধানমন্ত্ৰীর জিপ সাফারিতে সঙ্গ দিয়েছেন কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্ৰ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষেত্ৰ অধিকর্তা সোনালী ঘোষ।

প্রধানমন্ত্রী মহিলা বন সুরক্ষা কর্মী ‘বন দুর্গা’দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলা বনরক্ষী দল যাঁরা অগ্রভাগে থেকে আমাদের বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করছেন, প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তাঁদের নিষ্ঠা ও সাহস সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।

এখান থেকে হেলিকপ্টারে চলে গেছেন অরুণাচল প্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশ থেকে ফের আসবেন অসমের যোরহাটে। যোরহাট থেকে অসমের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।