নয়াদিল্লি, ১ মার্চ (হি. স.) : এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিভিন্ন জনসভায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভাষণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাত/সাম্প্রদায়িক অনুভূতিকে হাতিয়ার করে প্রচার করা যাবে না। এমন কোনও কার্যকলাপ করা যাবে না পারস্পরিক ঘৃণার জন্ম দেয় অথবা বিভিন্ন জাতি/সম্প্রদায়/ধর্মীয়/ভাষাগত গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
রাজনৈতিক দল ও নেতারা মিথ্যা বিবৃতির থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ। এমন কোনও বক্তব্য় পেশ করা যাবে না যা ভোটারদের বিভ্রান্ত করে।
প্রমাণ ছাড়া বা বিকৃত তথ্যের ভিত্তিতে বিরোধীদের সমালোচনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে চলা এবং রাজনৈতিক আলোচনায় শালীনতা বজায় রাখা।
নির্বাচনী প্রচারের জন্য উপাসনালয় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। ধর্ম সম্পর্কিত কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকা।
বিজ্ঞাপনগুলি সত্য এবং বিভ্রান্তিকর নয় তা নিশ্চিত করা। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ভোটারদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা বা ভোট পাওয়ার জন্য খয়রাতির রাজনীতির খেতে বিরত থাকা।
সোশ্য়াল মিডিয়াতে এমন কোনও পোস্ট থেকে বিরত থাকা যা প্রতিদ্বন্দ্বীদের অপমান বা খারাপ রুচি বলে প্রতিপন্ন হয়।
মহিলাদের মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুন্ন করে বা আঘাত হানে এমন কোনও কাজ বা বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদি এই সব নিয়ম লঙ্ঘন করা হয় তবে কড়া ব্য়বস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। উল্লেখ্য, এবার থেকেৃ অ্যাপের সাহায্যে নির্বাচনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখতে পারবে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, যে মুহুর্তে ২২টি এজেন্সি কোনও কিছু তথ্য পাবে, সেই তথ্য তখনই আপলোড করা হবে অ্যাপে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলিও যদি কোনওরকম ভাবে কমিশনের নিয়ম বহির্ভূত কাজ করতে যায় তাও অ্যাপের মাধ্য়মে ধরা পড়বে। অর্থাৎ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক নিমেষে সকল কাজকে হাতের মুঠোয় আনতে চাইছে কমিশন। তাই কমিশনের এই পদক্ষেপ।