আগামীকাল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক স্মিথের জন্মদিন

জোহানেসবার্গ, ৩১ জানুয়ারি (হি.স.): গ্রায়েম ক্রেগ স্মিথ হলেন একজন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব ফরম্যাটে খেলেছেন। ২০০৩ সালে ২২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হন তিনি। ২০১৪ সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অধিনায়ক পদে ছিলেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়কদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন যিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে রেকর্ড ৫৪টি টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
একজন বাঁ-হাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, স্মিথকে সর্বকালের সেরা ওপেনারদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময়, তিনি টানা টেস্ট ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এজবাস্টনে ২৭৭ এবং লর্ডসে ২৫৯। লর্ডসে তার ২৫৯ রান এখনও এই ভেন্যুতে কোনো বিদেশি খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ স্কোর। ২৪ অক্টোবর ২০১৩, স্মিথ তার ১১২তম টেস্ট ম্যাচে ৯ হাজার রান পূর্ণ করার জন্য দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান এবং সামগ্রিকভাবে ১২তম হন। ওডিআই ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ স্কোর ২০০৯ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার তার করা ১৪১ রান ছিল যে কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ স্কোর।
কেরিয়ারের ১১৭টি টেস্টে করেছেন ৯২৬৫ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৭টি।
একদিনের ক্রিকেটে ১৯৭ ম্যাচে করেছেন ৬৯৮৯ রান।সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি।
আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন ৩৩টি। করেছেন ৯৮২ রান।
৩ মার্চ ২০১৪। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টটি খেলে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।তার দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারটা খুবই উজ্জ্বল। এই উজ্জ্বল কেরিয়ারে নেই শুধু একটা জিনিসই, তাহল একটা বিশ্বকাপ। শুধু স্মিথ কেন,এই দেশটির কাছে বিশ্বকাপ এখনও অধরা। এখানেই দুঃখ স্মিথের।
অধিনায়ক স্মিথ:
**তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে ৫৪টি টেস্ট জয়ের রেকর্ড করেছেন, ১০৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার সাফল্যের শতাংশ হল ৪৯.৭।
**এছাড়াও, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র অধিনায়ক, যিনি তার দলকে ৫০টিরও বেশি জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনও কেউ তার কাছে আসেনি।
**একদিনের ক্রিকেটে তিনি আরও বেশি সফলতার স্বাদ পেয়েছেন! তিনি ১৪৯টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এর মধ্যে ৯২টিতে জিতেছিলেন।
**তিনি ২৭টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১৮টি জিতেছেন যেখানে তিনি অধিনায়ক ছিলেন।
**তিনি অনেক দেশকে নিজেদের ঘরের মাঠে পরাজিত করেছেন।
**২০০৭ থেকে ২০১৪ এর মধ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকা তার অধীনে ঘরের বাইরে একটি সিরিজ হারেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *