ভগবান রাম ভারতের আত্মার সঙ্গে যুক্ত, ভারতবাসীর হৃদয়ে রাম বাস করেন : প্রধানমন্ত্রী

অযোধ্যা, ২২ জানুয়ারি (হি.স.): ভগবান রাম ভারতের আত্মার সঙ্গে যুক্ত, ভারতবাসীর হৃদয়ে রাম বাস করেন। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আজ আমাদের রাম এসে গিয়েছেন। শতাব্দীর অপেক্ষার পর আমাদের রাম এসে গিয়েছেন। বহু শতাব্দীর অভূতপূর্ব ধৈর্য, অগণিত ত্যাগ, ত্যাগ ও তপস্যার পর আমাদের ভগবান রাম এসেছেন। এই শুভ উপলক্ষে আপনাদের এবং সমস্ত দেশবাসীকে অনেক অনেক অভিনন্দন।” প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “বহু শতাব্দীর অপেক্ষার পর প্রভু রাম আমাদের মধ্যে এসেছেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, রামলালা আর তাঁবুতে নয়, এ বার ‘দিব্য মন্দিরে’ থাকবেন। ২২ জানুয়ারি শুধু কোনও তারিখ নয়, নতুন কালের শুরু। সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দির চত্বরে বক্তব্য রাখতে উঠে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন মোদী, তিনি বলেন, “প্রভু রামের মন্দির নিয়ে আইনি লড়াই চলেছে।” প্রভু রামের মন্দিরে ফিরতে ‘বিলম্বে’র জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আশা করি প্রভু রাম আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর পর থেকেই সমগ্র দেশে প্রতিদিনই উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়তে থাকে। নির্মাণ কাজ দেখে প্রতিনিয়ত দেশবাসীর মধ্যে নতুন আস্থা তৈরি হচ্ছিল। শতাব্দীর সেই ধৈর্যের উত্তরাধিকার আজ আমরা পেয়েছি। আজ আমরা শ্রী রামের মন্দির পেয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “যে দেশ দাসত্বের মানসিকতা ভেঙে রুখে দাঁড়ায়, যে দেশ অতীতের প্রতিটি কামড় থেকে সাহস নেয়, সেই দেশ এভাবেই নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। এখন থেকে হাজার বছর আগেও মানুষ এই তারিখের কথা বলবে, এই মুহূর্তের কথা বলবে।” মোদী বলেছেন, “ভারতের সংবিধানের প্রথম অনুলিপিতে ভগবান রাম উপস্থিত। সংবিধান কার্যকর হওয়ার পরেও, ভগবান শ্রী রামের অস্তিত্ব নিয়ে কয়েক দশক ধরে আইনি লড়াই অব্যাহত ছিল। আমি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যা ন্যায়বিচারের মর্যাদা রক্ষা করেছে।” নিজের ১১ দিনের ব্রত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “নিজের ১১ দিনের উপবাস-ব্রতের সময় ভগবান রামের পা যেখানে পড়েছিল, সেই স্থান স্পর্শ করার চেষ্টা করেছি। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।”