BRAKING NEWS

পৌষ পার্বণকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে  লঙ্কামুড়া

আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি: পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুন সাজে সেজে উঠেছে আলপনা গ্রাম। প্রতিবছরের মত দর্শকদের কাছে এ বছরও আকর্ষণীয় হবে লঙ্কামুড়াস্থিত আলপনা গ্রাম। বাংলা ১৪৩০ সনের পৌষ সংক্রান্তি  সোমবার। শীতের হিমেল ছোঁয়ায় বাঙালিরা মেতে উঠে এই পৌষ পার্বণে। যুগ যুগ ধরে বাঙালিরা পৌষ মাসের শেষ দিন এই পৌষ পার্বণ অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তি পালন করে আসছে। এই পৌষ সংক্রান্তি বাঙালিদের সংস্কৃতির একটি বিশেষ উৎসব।

যেকোনো উৎসবের সাথে যেভাবে মানুষের মিলন আনন্দ বার্তা জড়িয়ে থাকে সেই একইভাবে জড়িয়ে থাকে পৌষ পার্বণেও। এই দিনটির কথা উঠলে ভেসে আসে পিঠে পুলি এবং আলপনার কথা। যার ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে আগরতলা শহরতলী লঙ্কামুড়া এলাকায়। গ্রামের মহিলারা নিজ বাড়ির মাটির কোঠায় এবং বাড়ির উঠোনে আলপনা আঁকছে এই সময়ে। যার কারণে নির্দিষ্ট একটি জায়গা জোড়ে গ্রামটির নাম হয়েছে আলপনা গ্রাম। পৌষ পার্বণের কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রামের মহিলারা নিজ বাড়ির ঘর আলপনা দ্বারা সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। 

দিনরাত পরিশ্রম করে দর্শকদের কাছে গ্রামটি প্রতিবছর জনপ্রিয় করে চলছে গ্রামের মহিলারা। হাজার হাজার মানুষ পৌষ পার্বণের দিন এবং তার পরের দিন সেখানে ছুটে গিয়ে নিজেদের আবেগ ভালবাসা জড়িয়ে ফেলে গ্রামের মানুষের সাথে।দুদিন চলে মেলা। এবছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। গ্রামের বাড়ি বাড়ি চলছে আলপনার শেষ তুলি টান। যা দেখে মুগ্ধ হবে যে কেউ।

 তবে গ্রামের মহিলাদের এই রীতি পরম্পরা গ্রাম- বাংলার অনেক মহিলারা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো রকমারি মাটি নয়, বাহারি রঙে বাড়ির উঠোনে আঁকা হয় আল্পনা। গ্রামের মহিলারা জানান, এক সময় তারা কয়েকজন মিলে কসবা থেকে মাটি নিয়ে আসতেন। আর সেই মাটি দিয়ে উঠোন সাজাতেন। এখন এর জায়গায় নিয়েছে রঙ। অপরদিকে পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে বাজারে খেজুরের গুড়, তিল্লাই, বাতাসা সহ বিভিন্ন সরঞ্জামের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। 

মহারাজগঞ্জ বাজার এবং বটতলা বাজারে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়। ব্যবসায়ীরা জানায় তারা বেচা বিক্রি নিয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট। অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছর অনেকটাই ভালো বিক্রি হচ্ছে পৌষ পার্বণ উৎসবের লুটের সরঞ্জাম। কিন্তু অপরদিকে এক মাংস ব্যবসায়ী মুখ শুকিয়ে বলেন মানুষের কাছে টাকা থাকতে হবে, তাহলে খেতে পারবে। কিন্তু বাজারে মাংসের মূল্য অনেকটাই আঁকাছোঁয়া। মানুষের পকেট কাটার ফন্দি কিছু পাইকারি এবং খুচরো মাংস ব্যবসায়ীরা ভালো করেই জানেন। 

তবে পৌষ পার্বণ উৎসবের আগের দিন রাতের বেলা যে পিকনিক করা হয় এবং বুড়ির ঘর বানিয়ে যে আনন্দ উল্লাস হয়ে থাকে তার জন্য পিকনিক প্রিয় মানুষ বাজারে মাংস নিতে আসবে না সেটাও ভুল ধারণা বলা চলে। মূল্য দ্বিগুণ আর তিনগুণ, মাংস তো চাই! এদিন সকাল থেকেই মাংস বাজারে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *