করিমগঞ্জ (অসম), ১২ জানুয়ারি (হি.স.) : আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে সারা দেশে এক আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ থেকে বাদ যায়নি সীমান্ত শহর করিমগঞ্জ। করিমগঞ্জে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কার্যসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে করিমগঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এক বিশাল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়।
এলাকার পুরুষ-মহিলারা মিলে এই বিশাল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার শুরুতে রাম-লক্ষণ-সীতা ও হনুমান সেজে কচিকাঁচারা অংশগ্রহণ করে। পুর কমিশনার জিশুকৃষ্ণ রায়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় রাজ্য পরিবহণ নিগমের অধ্যক্ষ মিশনরঞ্জন দাস, রাজশেখর দত্ত, পবিত্র রায়, অরূপ রায় প্রমুখ পা মিয়েছেন।
মিশন দাস বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, ভারতবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দিন ২২ জানুয়ারি। বহু মানুষের আত্মবলিদান আজ সার্থক হয়েছে। রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। এ থেকে বড় সৌভাগ্যের বিষয় আর কিছু নেই ভারতবাসীর জন্য। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে দেশের সব স্থানে নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছানো হচ্ছে। যাঁরা নিমন্ত্রণ পেয়েও এই শুভ মুহূর্তে উপস্থিত থাকবেন না তাঁদের মতও অভাগা আর কেউ নেই।
এদিন অযোধ্যা থেকে প্রেরিত নিমন্ত্রণপত্র, রাম মন্দিরের ছবি এবং একটি প্রদীপ বিতরণ করা হয়। ২২ জানুয়ারি প্রত্যেক ঘরে এই প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন পুর কমিশনার জিশুকৃষ্ণ রায়।
এদিকে আজকের এই শোভাযাত্রায় জীবন্ত রাম, সীতা, লক্ষণ, হনুমান করিমগঞ্জবাসীর আকর্ষণ ছিলেন। রামের ভূমিকায় ছিলেন পঞ্চতপা ভট্টাচার্য, সীতার ভূমিকায় মৌসুমী চক্রবর্তী, লক্ষণের ভূমিকায় বহ্নিশিখা পাল ও হনুমানের ভূমিকায় ছিলেন পিউ দেব।