কলকাতা, ৮ জানুয়ারি (হি.স.): শিয়রে সুপ্রিম কোর্টের ২ মাসের ডেডলাইন। ৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর থেকে দু’মাসের সময়সীমা ফুরোচ্ছে আগামিকাল অর্থাৎ, ৯ জানুয়ারি। মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআই-এর। তার আগে সোমবার নিম্ন আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলায় চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সোমবার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা করল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। হাইকোর্টে শুনানির আগে সোমবার জমা পড়ল চার্জশিট।
সিবিআই সূত্রের খবর, চূড়ান্ত চার্জশিটে একাধিক এজেন্টদের নাম থাকছে। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনের নাম রয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের মামলায়ও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এরপর আদালতের থেকেই জানতে চাওয়া হতে পারে নতুন ভাবে উঠে আসা দিকগুলি নিয়ে তারা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে কি না। ফলে আপাতভাবে চূড়ান্ত বললেও, আদতে পরবর্তী তদন্তের রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে সিবিআই, এমনটাই মত আইনজীবী মহলের।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতার বড়বাজার, মানিকতলা, আলিপুর, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, নারকেলডাঙা সহ মোট ১০ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকেই আর্থিক লেনদেন সহ প্রায় ৩ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সঙ্গে রয়েছে কিছু নগদ টাকা ও জমির দলিল, ১৪ টি মোবাইল, ৪ টি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি হার্ড ডিস্ক।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। চুনোপুটি থেকে রাঘববোয়াল তদন্তকারীদের র্যাডারে ধরা পড়েছে অনেকেই। রাজ্যের মন্ত্রী থেকে বিধায়ক সহ একাধিক তৃণমূল নেতা বর্তমানে জেলেও রয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত চার্জশিটে আরও নতুন কোনও তথ্য রয়েছে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।