BRAKING NEWS

যানবাহনের নতুন আইন হিট এন রান প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তর জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বুধবার, ৩ জানুয়ারি:
কেন্দ্রীয় সরকার সদ্য সংসদে যানবাহনের নতুন মোটর আইন হিট এন্ড রান বিল এনেছে। আর এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও যান চালকরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।এবার এই প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়ল উত্তর জেলার ধর্মনগর ও পানিসাগর মহকুমার বিভিন্ন স্থানে।
বুধবার সকাল আটটা থেকে পানিসাগর মহকুমার চামটিল্লা সংলগ্ন আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর চাক্কা জ্যাম করে প্রতিবাদে বসেন যান চালকরা। তাদের দাবি হিট এন্ড রান বিল প্রত্যাহার না করলে তাদের চাক্কা জ্যাম জারি থাকবে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা ও পানিসাগর থানার পুলিশ। প্রায় দীর্ঘ চারঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের পর স্হানীয় পুলিশের আশ্বাসে আপাতত যান চালকরা তাদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

এদিকে সদ্য যানবাহন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ধর্মনগর মহকুমাধীন রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়িতে আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর প্রতিবাদ সংগঠিত করে উত্তর জেলার অল ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন। সেখানে প্রায় ঘন্টা খানেক চলে তাদের প্রতিবাদ।

অপরদিকে সকাল এগারোটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত কদমতলা ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ন স্হানে ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে বিক্ষোভ,ধর্না ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন ই-রিক্সা,অটো ও বাস চালকরা। এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যান চালকরা যানবাহন আইন প্রত্ত্যাহারের দাবিতে হরব হয়ে বলেন,যান চালকরা বর্তমানে করুন অবস্থায় দিন যাপন করছেন। সেই জায়গায় কেন্দ্র সরকার তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো যানবাহন দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাত লক্ষ টাকা জরিমানা ও দশ বছর জেলের বিল পাশ করেছেন। তাই এই বিলের বিরুদ্ধে সকল যান চালকরা।

কেন্দ্র সরকার এই বিল প্রত্যাহার না করলে রাজ্যের সকল যানচালকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখযোগ্য যে,আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে এমন আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যান চালকদের প্রতিবাদ স্বাভাবিকভাবেই বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে কেন্দ্র সরকারকে। তাছাড়া যান চালকদের প্রতিবাদের কারনে বহিঃরাজ্য থেকে আংশিক পরিমানে যানবাহন রাজ্যে ঢুকছে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটও দেখা দিতে পারে বলে ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *