ধর্মনগর, ২ জানুয়ারি : গত ২০ ডিসেম্বর সংসদে গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ একটি বিল পেশ করেছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে ওই চালকের বিরুদ্ধে ১০ বছরের শাস্তি এবং ৫ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হবে। এই প্রস্তাবকে ধিক্কার জানিয়ে বিএমএসের নামে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আগামীকাল থেকে লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে যে কথা ছড়ানো হচ্ছে তা বিভ্রান্তিমূলক। আজ ধর্মনগর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ত্রিপুরা প্রদেশের প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট মজদুর সংঘের সভাপতি একথা বলেন বিপ্লব দাস।
তিনি এদিন জানিয়েছেন, আগামীকাল আইএসবিটি এবং জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখবেন কর্মী। ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদে এই বিলের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হবে। ৯ জানুয়ারি বি এম এস এর পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর কাছে চিঠি প্রদান করা হবে। ১০ জানুয়ারি জেলাভিত্তিক কর্মসূচি রয়েছে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। তাছাড়া, ১১ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য চিঠির প্রদান করা হবে।
এদিন আরও জানিয়েছেন, আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা, জেলা এবং তরেস্তরে এর বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানানো হবে। তারপর মজদুররা শ্রমিকদের স্বার্থে সঠিক ব্যবস্থার গ্রহণ করে প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে। কিন্তু ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে লরি চালকরা লরি বন্ধ করে দেবে বলে যে হুমকি দিচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর এবং এর সাথে বি এম এস এর কোন যোগাযোগ নেই।