নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ৩০ ডিসেম্বর : প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পথ অবরোধ অভিভাবকের। শনিবার সাতসকালে কল্যাণপুর ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের ছোট ছোট ছাত্রছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকরা কল্যাণপুর মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় খোয়াই তেলিয়ামুড়া সড়ক অবরোধ করে।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে এই পথ অবরোধ করা হয়েছে বলে দাবি অভিভাবকদের। সকাল আটটায় অবরোধ শুরু হলেও কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ এবং কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস দেবরায় এর হস্তক্ষেপে প্রাথমিক ভাবে অবরোধ ওঠে যায়।
এরপর সকলে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বিমল দেববর্মার সাথে কথা বলে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলে অভিভাবকরা বাড়ী চলে যান। পরে ময়দানে অবতীর্ন হন খোদ বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। জানা গেছে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট অনেক দিনের। ৩০০ ছাত্র ছাত্রীর জন্য প্রধান শিক্ষক সহ মোট শিক্ষক মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে দুই জন ছুটিতে আর একজন এস ডি এম এর ডেপুটেশনে।
শনিবার স্কুলে মাত্র দুই জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষককে নিয়ে। এমনিতে স্কুল শুরু হবার সময় সকাল ৬:৩০ হলেও শীতের মরসুমে স্কুল শুরু হয় সকাল ৭ টায়। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ হলো শিক্ষক স্বল্পতার কারণে কোনদিনই স্কুলে একটি বা দুই টির বেশী ক্লাস নেওয়া হয় না। অন্যদিকে বাচ্চা দের মিড ডে মিল খাবার নির্দিষ্ট কোন ঘর বা স্থান না থাকায় তাদের খোলা মাঠে গরু ছাগলের সাথে মিড ডে মিল খেতে হয়।
অভিভাবকরা জানান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাদের এই পথ অবরোধ। এদিকে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বিমল দেববর্মা জানান যে তিনি এবং অন্য একজন শিক্ষক বিজয় কুমার দেববর্মা সবেমাত্র রোল কল করেছিলেন। ঠিক ছিলো প্রধান শিক্ষক দেখবেন প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস এবং অন্য শিক্ষক দেখবেন তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস। এর মধ্যেই বেশ কিছু অভিভাবক নাকি স্কুলে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে বলেন ছাত্রদের ছেড়ে দিতে। অভিভাবকরা এক প্রকার জোড় করেই ছাত্র ছাত্রীদের সাথে করে নিয়ে পথ অবরোধে বসেন। সাথে সাথেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ এবং কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এর প্রধান তাপস দেবরায়। যদিও তাদের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।