আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর।। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড ইন ত্রিপুরা- এর পক্ষ থেকে প্রেরিত এক প্রেস রিলিজ পড়ে আমার মতো যে কেউ ব্যথিত হবেন এবং পাশাপাশি প্রতিবাদ মুখর হওয়াটাও স্বাভাবিক। প্রেস রিলিজে উল্লেখ রয়েছে: গত ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ধর্মনগরে অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল ব্লাইন্ড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক ত্রিপুরা দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দল অংশগ্রহণ করে। ২৬ ডিসেম্বর ধর্মনগর থেকে আগরতলা রেলে করে ফিরে আসার পথে দিব্যাঙ্গদের বগিতে বসেছিল। কিন্তু পেঁচারথল রেলস্টেশনে পৌঁছুলে দেখা যায় জাতি উপজাতি ব্যবসায়িকরা কাঁচা সবজি বিক্রির জন্য আগরতলার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসার জন্য সংরক্ষিত বগিগুলিতে চড়াও হয়। ইহাতে দৃষ্টিহীন ক্রিকেট প্লেয়ারদের দিব্যাংগদের বসতে অসুবিধা হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়িকরা প্লেয়ারদের বসা বগির দরজা খোলার জন্য তাদের বাধ্য করে। প্লেয়াররা দরজা খুলতে অসম্মত প্রকাশ করলে ব্যবসায়িকরা তাদের উদ্দেশ্যে ইট পাথর দিয়ে ঢিল মারতে থাকে। দরজায় লাথি মারে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। জানালার কাঁচ ভেঙে দেয়। প্রাণ নাশের ভয়ে প্লেয়াররা আরপিএফ ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কুমারঘাট স্টেশনে এসে তাঁদের সাথে দেখা করেন। প্লেয়াররা তাদের বিস্তারিত বিবরণ আরপিএফ ও পুলিশকে জানায়। আরপিএফ ও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িকদের সাথে কথা বলেন এবং প্লেয়ারদের সান্তনা দেন। তারপর আমবাসা রেলস্টেশনে পৌছুলে দেখা যায় সাধারণ মানুষরা দিব্যাঙ্গদের বগিতে বসতে থাকে। প্লেয়াররা সাধারণ মানুষদের বুঝিয়ে বলেন, বগি গুলো দিব্যাঙ্গদের জন্য। সংরক্ষিত বগিগুলিতে না ওঠার জন্য। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় সাধারণ মানুষরা দিব্যাঙ্গদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। তারপর প্লেয়াররা তাদের কিছু বলার চেষ্টা করেননি। দিব্যাঙ্গদের জন্য সংরক্ষিত বগিগুলোতে যেন সাধারণ মানুষ উঠতে না পারে এবং দিব্যাঙ্গদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বগিগুলিতে নিরাপত্তা কর্মী থাকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ও রেল ডিভিশনে কথা বলে সে ব্যবস্থাটুকু দিব্যাঙ্গদের জন্য করেন। সিএবিটি-র পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।